গ্রামীণফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আদায়ে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রামীণের করা এক আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দেন। বকেয়া দাবি নিয়ে গ্রামীনফোনকে হয়রানি না করার জন্য গ্রামীণফোনের আবেদন নিম্ন আদালতে নাকচ হওয়ার পর হাইকোর্ট থেকে এই আদেশ এল।
একই সঙ্গে আদালত আগামী ৫ নভেম্বর গ্রামীণফোনের আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
গ্রামীণফোনের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, এ বছর ২ এপ্রিল ২৭টি ক্ষেত্র থেকে গ্রামীণফোনের কাছে অযৌক্তিকভাবে ১২ হাজার কোটি টাকা পাওনা হিসেবে দাবি করে বিটিআরসি।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গ্রামীণফোনের কাছে টাকা আদায় ও হয়রানি না করার নির্দেশনা চেয়ে ঢাকায় একটি আদালতে আবেদন করে অপারেটর কর্তৃপক্ষ। ২৮ আগস্ট ওই আবেদন আদালত থেকে নাকচ হয়ে যাওয়ায় এর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদন গ্রহণ করে পাওনা আদায়ে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।
বিটিআরসির দাবি অযৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে হাইকোর্টসহ বিভিন্ন আদালতে মামলা বিচারাধীন।