The news is by your side.

গার্ডার দুর্ঘটনা: সেফটি ইঞ্জিনিয়ারের প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া বা  কোনো প্রশিক্ষণ নেই

0 150

 

বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারি কোম্পানি চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনে (সিজিজিসি) ‘সেইফটি ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে গত বছর নিয়োগ পান জুলফিকার আলী শাহ। বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তরার আজমপুর পর্যন্ত নির্মাণকাজে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব ছিল তার।

গার্ডার চাপায় পাঁচজনের মৃত্যুর মামলায় জুলফিকারকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানাচ্ছে, তার কোনো কারিগরি শিক্ষা নেই, তিনি এসএসসি পাস করেই এতো বড় প্রকল্পের সেইফটি ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব পান।

দুদিন আগের ওই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করার পর বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

আল মঈন বলছেন, সিজিজিসির ‘সেইফটি ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে ৩৯ বছর বয়সী জুলফিকার ২০২১ সালে নিয়োগ পান। অথচ তিনি এসএসসি পাস।

“এত বড় প্রকল্পের সেইফটি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার মত কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বা প্রশিক্ষণ তার নেই। প্রকল্পের বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তরার আজমপুর এলাকা পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

“দুর্ঘটনার দিনে ভারী গার্ডার স্থাপনের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি কোনো ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী বসাননি। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত লোকও নিয়োগ করেননি।”

র‌্যাবের কর্মকর্তা আল মঈনের ভাষ্য, “তারা আনুমানিকভাবে বলেছে যে ক্রেইনটি ৯৬-৯৭ সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছিল, এটি মেয়াদোত্তীর্ণ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বক্তব্য অনুযায়ী ওই ক্রেইন দিয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৫০ টন ওজন ‘কম্ফোর্টেবলি’ তোলা যায়।

“আর ওই ক্রেইনটি দিয়ে যখন সোজাসুজিভাবে না তুলে তেরছাভাবে তোলা হয়, তখন সেটির ভার বহন সক্ষমতা আরও কমে যায়। সেখানে যে গার্ডারটি ছিল সেটির আনুমানিক ওজন ৬০ থেকে ৭০ টন। যার কারণে যিনি ক্রেইনটি চালাচ্ছিলেন, সেই হেলপার রাকিব নিয়ন্ত্রণ হারান।“

“এই গার্ডার তোলার ক্ষেত্রে কাউন্টার লোড ব্যবহার করা উচিৎ ছিল, যেটা হয়নি। আরেকটি ক্রেইন স্ট্যান্ডবাই রাখা উচিৎ ছিল, সেটিও রাখা হয়নি।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.