গাজা উপত্যকায় একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বাস্তবসম্মত সময়ে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতে ইসরায়েলি স্থল অভিযানের বিরোধিতা করা হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের উচিত গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানানো। এর ভিত্তি হবে সব জিম্মির মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহযোগিতা সরবরাহের সব বাধা অপসারণ। এতে রাফাতে স্থল অভিযান পরিচালনা না করতে ইসরায়েলকে সতর্ক করা হয়েছে।
রাফাতে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
দুই সপ্তাহ আগে নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে আলজেরিয়া। এতে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার প্রস্তাবটিতে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। এরপর তারা নিজেদের পাল্টা প্রস্তাব উত্থাপন করলো।
যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ইসরায়েল ও কাতার সম্ভাব্য হামাস-ইসরায়েল সমঝোতার জন্য কাজ করছে। হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করছেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের খসড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভাষাগত পরিবর্তন রয়েছে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি শব্দ ব্যবহার করেছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, ইসরায়েল চায় না কোনও প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির উল্লেখ থাকুক। অথচ তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও এখন তা প্রস্তাব করছে।
৭ অক্টোবরের পর জাতিসংঘে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদের দুটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে দুটি ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত ছিল দেশটি।
বেইজ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন খসড়ায় যুদ্ধবিরতির ধারণা তুলে ধরেছে। কিন্তু এটিতে স্পষ্টভাবে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়নি। ফলে হয়ত রাশিয়ার কাছে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হবে না।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, তাদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। ওয়াশিংটনের খসড়াটি নিয়ে ভোটাভুটির তারিখ ও জানা যায়নি।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৯ হাজার ৯২ জন নিহত এবং প্রায় ৭০ হাজার জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন।