গাজায় ইসরাইল সেনাদের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে দফায় দফায় আলোচনা করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সবশেষ বৃহস্পতিবার কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কাতারের দোহায় আরেক দফা আলোচনা হয়েছে ইসরাইলের সঙ্গে। তবে সেই আলোচনা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছে ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চারটি কঠিন শর্তারোপ করায়।
প্রথম শর্ত; উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে ভাগ করে গাজায় নতুন করে ইসরাইলি বাহিনী ‘নেতজারিম করিডর’ তৈরি করেছে। মধ্য গাজা থেকে উত্তর গাজায় সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের এই করিডর অতিক্রম ঠেকানো নিশ্চিত করতে হবে।
দ্বিতীয় শর্ত; মিসর সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফিয়া করিডর এবং মিসর ও গাজার মধ্যকার রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলের হাতে থাকবে। গত মে মাস থেকে এই করিডর ও ক্রসিং নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরাইল।
তৃতীয় শর্ত; গাজায় কতজন ইসরাইলি বন্দি জীবিত আছেন, সে তথ্য দিতে হবে হামাসকে; আর তাদের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
চতুর্থ শর্ত; হামাস মুক্ত করতে চায়, এমন যে কোনো বন্দির মুক্তির বিষয়টি নাকচ করে দেওয়ার অধিকার চায় ইসরাইল। একই সঙ্গে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে চায় দেশটি।