অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভিত্তিহীন গোয়েন্দা সূত্রে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য রয়েছে হামাস আল-শিফাসহ গাজার হাসপাতালগুলোতে অবস্থান করছে।’
এ কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়েছে অভিযান।
গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় ট্যাংক ও বুল্ডোজার নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হাসপাতালটিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে আছেন ও সেখান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল। তবে ফিলিস্তিন এ অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, ইসরায়েলকে আরও উসকে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
অন্যদিকে গাজার সব হাসপাতাল পরিদর্শনের জন্য জাতিসংঘের প্রতি একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। আবার আল-শিফা হাসপাতালের কর্মচারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামাস হাসপাতালকে ব্যবহার করছে না। হাসপাতালের নিচে কোনো ঘাঁটি নেই। শুধু শুধু হাসপাতালগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।’
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাসপাতালে অভিযানের পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়ী বলে অভিযোগ করেছে হামাস। তারা মনে করছে, বাইডেন এ বিষয়ে ইসরায়েলকে ইন্ধন দিচ্ছে।
তবে ইসরায়েলের দাবি, আল শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি রয়েছে। তারা বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।