ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোডে গাছ কাটা শুরুর ১০ দিনের মাথায় প্রথমবারের মতো এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, ‘গাছ কাটা নিয়ে কেউ কেউ মর্মাহত হতেই পারেন, কষ্ট পেতেই পারেন। এটা তাদের আবেগের বিষয়। আবার অনেকেই ঢালাওভাবে অনেক কথা বলছেন। পূর্ণ তথ্য না নিয়েই কথা বলেন। আসলে উন্নয়ন কাজে অনেক সময় গাছ ফেলে দিতে হয়, কেটে ফেলতে হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু আমরা তখনই করি, যখন নিতান্তই আর কোনো উপায় থাকে না।’
বুধবার ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং, যে গাছগুলোকে ফেলে দিতে হয়েছে বা কেটে ফেলতে হয়েছে, সেই জায়গায় আমরা অবশ্যই অন্য গাছ লাগাব। উন্নয়ন কাজের প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলে সেখানে নতুন করে আমরা ৩ গুণ বেশি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি একটা গাছ অপসারিত হয়, তাহলে সেখানে আমরা ৩টা গাছ লাগানোর লক্ষ্যেই কাজ করছি। ওই সড়ক বিভাজনে আমরা আরও অনেক বেশি গাছ লাগাব। এ ছাড়া, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে প্রায় ১০ হাজার গাছ লাগাব। সুতরাং এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া।’
‘আমরা কিন্তু এরই মাঝে বিগত ২ বছরের অধিক সময়ে প্রায় ২ লাখ গাছ রোপণ করেছি। আদি বুড়িগঙ্গায় আমরা প্রায় লক্ষাধিক গাছ লাগাব। তাছাড়া আমাদের খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প পাশ হয়েছে সেখানে আমরা লক্ষাধিক গাছ লাগাব। সুতরাং ঢাকাকে সবুজ-শ্যামল করার জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। কোনো নগর পরিকল্পনাবিদের পরামর্শ ছাড়া গাছ কাটা হচ্ছে—এটা আসলে ঢালাওভাবে বলা। আমাদের ৩ জন নগর পরিকল্পনাবিদ রয়েছেন।
আমি আসার পর থেকে আমাদের প্রকল্প বা নিজস্ব কার্যক্রম হোক বা অন্য কোনো কিছু হোক—আমি বিভিন্নভাবে স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ, ইতিহাসবিদসহ সকলকে নিয়েই সম্মিলিতভাবে কাজ করে চলেছি। পরিকল্পনা কিন্তু কেউ দেখে না। পরিকল্পনা করে যখন আমরা কাজে যাই, তখন অনেকে দেখেন। কিন্তু উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে আমাদের নেপথ্যে অনেক কাজ করতে হয়। গাছ আমরা লাগিয়ে যাব। ঢাকাকে অবশ্যই আমরা একটি সুন্দর, সবুজ নগরীতে পরিণত করব।’