অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের শেষ মেয়র বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার লাশ দেশে আনতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছেন তিনি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দফতরে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন খোকা। এরমধ্যে দুর্নীতির মামলায় তার সাজাও হয়। বিদেশে থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আর পাসপোর্ট পাননি বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খোকা দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন বলে বিএনপি নেতারা জানান।
খোকার লাশ দেশে আনা নিয়ে কোনো সমস্যা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি তো ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকালই বলা হয়েছিল। তাকে আনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে ও হবে, সে ঘোষণা তো আগেই দেওয়া হয়েছিল।
ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ১৪ মে সপরিবারে নিউইয়র্ক চলে যান সাদেক হোসেন খোকা। তার পর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে থাকছিলেন বিএনপির এ নেতা।
হাসপাতালে খোকার পাশে আগে থেকেই আছেন তার স্ত্রী ইসমত হোসেন, মেয়ে সারিকা সাদেক, ছেলে ইশফাক হোসেন। বাবার সংকটাপন্ন অবস্থার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে তার বড় ছেলে ইশরাক হোসেনও নিউইয়র্কে ছুটে যান।
২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন খোকা। ২৯ নভেম্বর ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঢাকা মহানগরের মেয়র ছিলেন তিনি।