খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকের মতো ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকদের জন্যও বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যেসব মেয়াদি ঋণ, ইজারা বা বিনিয়োগ হিসাব ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ছিল না, অক্টোবর-ডিসেম্বরে সেগুলোর কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ডিসেম্বরের শেষ কার্য দিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হলে তা খেলাপি হবে না।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের পরিপত্রে এ কথা বলে হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যেসব মেয়াদি ঋণ হিসাব চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ছিল না, তারা এই সুযোগ পাবে। এ জন্য ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলেই হবে।
অপরিশোধিত কিস্তির অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সমান কিস্তিতে (মাসিক/ ত্রৈমাসিক) দেওয়া যাবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে বর্ধিত এক বছর সময় বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনর্নির্ধারণ করে নতুন সূচি অনুযায়ী বাকি টাকা আদায় করতে হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ইসলামি শরীয়াহ্ভিত্তিক মেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। তবে এই সুবিধার পর ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে যথানিয়মে সেই ঋণখেলাপি হয়ে যাবে। এবং যে সময়ের জন্য মেয়াদি এসব ঋণ বিশেষ সুবিধা পেল, সেই সময়ের জন্য অতিরিক্ত মাশুল (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে চলতি মাসেই ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ীদের জন্য এমন ছাড় দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে একইভাবে কিস্তির ৫০ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই কেউ খেলাপি হবেন না বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যবসায়ীরা চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুযোগ পাবেন। এর আগে কিস্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ জমা দিলে খেলাপি হতেন না ব্যবসায়ীরা।