রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেনে গেলেন। তিনি ইউক্রেনের দখলীকৃত এলাকা খেরসন লুহানস্ক ভ্রমণ করেছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
তবে কখন এবং কবে তিনি গিয়েছিলেন তা ক্রেমলিন সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে, পুতিন দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে একটি সামরিক কমান্ডের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকে তিনি সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কমান্ডারদের কাছে থেকে জাপোরিঝিয়া ও দিনিপার অঞ্চলের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেছেন। তবে কবে এই বৈঠক হয়েছে সেটিও জানায়নি ক্রেমলিন।
এ ছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের পূর্ব লুহানস্ক অঞ্চলে ন্যাশনাল গার্ডের সদর দপ্তরও পরিদর্শন করেছেন বলে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
খেরসনে সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের একটি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পুতিনকে বলতে শোনা যায়, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি কীভাবে, কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, সে সম্পর্কে আপনাদের মতামত শোনা, আপনাদের কথা শোনা, তথ্য বিনিময় করা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্রেমলিন জানিয়েছে, খেরসনে পুতিনের এই সফর পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। অন্যদিকে রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও খোঁজখবর নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে রুশ সেনারা খেরসন থেকে পিছু হটেছিলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশবাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর এটাই একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী, দখলে নেওয়ার পর যেটার নিয়ন্ত্রণ হারায় রাশিয়া। তবে এখনো খেরসনের কিছু অংশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।