ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, রাশিয়ার সেনারা খেরসনে যুদ্ধাপরাধ করেছে। তিনি জানান, রুশ সেনাদের দখলকৃত খেরসনে প্রায় চার শতাধিক যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুসন্ধানে এই তথ্য উদঘাটিত হয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের বুচা, ইজিয়াম ও মারিউপোলে গণকবর পাওয়া গেছে। এই নৃশংসতার জন্য রাশিয়ান সেনাদের দায়ী করেছে ইউক্রেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মস্কো জানিয়েছে, মস্কোর সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেনি।
খেরসন স্বাধীন হয়ে গেলেও ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ শহরটিতে কারফিউ জারি করেছেন। খেরসনে যাওয়া আসা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি জানান, রুশ সেনারা দেশের যেসব অঞ্চলে প্রবেশ করেছে সেখানেই নৃশংসতা করেছে। তারা খেরসনেও এই একই কাজ করে গেছে। তারা অবশ্যই এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করবেন।
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আগ্রাসনের পর খেরসনই একমাত্র অঞ্চল যা দীর্ঘদিন ধরে রুশ সেনাদের দখলে ছিলো। গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্রেমলিনের একটি অনুষ্ঠানে খেরসনসহ আরও তিনটি অঞ্চলকে রাশিয়ার ভূখণ্ড বলে দাবি করেন। কিন্তু শুক্রবার (১১ নভেম্বর) খেরসনকে ইউক্রেন সেনারা স্বাধীন করেছেন।
প্রায় ৩০ হাজার রাশিয়ান সেনাকে অপসারণ করার পর খেরসনের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে অনেকের মনে আশঙ্কা রয়েছে, কিছু সংখ্যক রাশিয়ান সেনা এখনো ছদ্মবেশে ইউক্রেনে লুকিয়ে থাকতে পারে।
বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়ার সেনাদের আটক করা হয়েছে। তবে যারা এসব নৃশংসতার পেছনে আছেন তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ইউক্রেনের সেনারা ইন্টারনেট ও টিভি সংযোগ করার জন্য কাজ করছেন। যতদ্রুত সম্ভব পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।