বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
৬ মার্চ খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পাশাপাশি আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সোমবার আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। মঙ্গলবার নাগাদ সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এর আগে, এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। শর্ত ছিল, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে।
খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ১৩ মার্চ রাতেও তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন তিনি বাসায় ফিরে যান।
দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথমদিকে কারাবন্দি ছিলেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে।