The news is by your side.

খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি: পশ্চিমা বিশ্বের কাছে আরও ছাড় চায় রাশিয়া

0 99

পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার ভারে ভারাক্রান্ত রাশিয়া খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানির পথে বাধা দূর করতে একাধিক ছাড়পত্রের দাবি করছে। অন্যথায় ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির মেয়াদ না বাড়ানোর হুমকি দিচ্ছে মস্কো।

যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য রপ্তানি প্রথমে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত গত জুলাই মাসে তুরস্ক ও জাতিসংঘের উদ্যোগে মস্কো ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণ সাগরে জাহাজের মাধ্যমে কৃষিপণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে এক বোঝাপড়া মেনে নেয়। তবে নীতিগতভাবে তিন বছর মেয়াদের সেই চুক্তির বাস্তব মেয়াদ কম রেখে রাশিয়া বার বার আন্তর্জাতিক বিশ্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করার হাতিয়ার হাতছাড়া করেনি।

রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানিসংক্রান্ত আনুষাঙ্গিক এক চুক্তি সম্পর্কে নিজস্ব মনোভাবের ভিত্তিতে নিজের হাতে রাশ রাখতে চাইছে মস্কো।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, যে রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি সুগম করতে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তির ‘কার্যত কোনো ফল’ মস্কো দেখতে পাচ্ছে না। তিনি এমন অচলাবস্থার জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে দায়ী করেন। সেই বাধা দূর করতে মস্কোর দাবি না মানলে রাশিয়াও ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির বোঝাপড়ার মেয়াদ বাড়াবে না। ১৮ই মে সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর দফায় দফায় নানা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে গেলেও খাদ্যশস্য ও সারের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি। তবে মস্কোর অভিযোগ, আর্থিক লেনদেন, লজিস্টিক্স ও বিমার ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাস্তবে খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও আমদানি করা যাচ্ছে না। সেই অচলাবস্থা কাটাতে রাশিয়ার দাবির তালিকায় অন্যতম প্রধান বিষয় রাশিয়ার কৃষি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক ‘সুইফট’ কাঠামোয় ফিরিয়ে আনার ছাড়পত্র। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেশ সে বিষয়ে কোনো আশ্বাস না দিয়ে এক পালটা প্রস্তাব রেখেছেন।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.