অডিও কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানকে ‘সাধারণ ক্ষমা’ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সেই শাস্তি প্রত্যাহার করে দলের পক্ষ থেকে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে যারা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন তাদের বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর মুরাদ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন।
ওই চিঠিতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে দল বা দলীয় প্রধানকে বিব্রত করতে পারে ভবিষ্যতে এমন কিছু করবেন না বলে জানান।
আওয়ামী লীগের অনেককেই ক্ষমা করা হয়েছে, আপনি ক্ষমা চেয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, আমি আবেদন করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এখনো চিঠি আনতে যাইনি। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আরও গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।