১১ দফা দাবি দেওয়া আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা গুলশানের একটি হোটেলে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। সেখানে একটি সংবাদ সম্মেলনও ডাকেন আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা। সেখানে নতুন করে ১৩ দফা দাবি জানানো হয়।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এ সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরছেন ক্রিকেটারদের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
গত সোমবার দেশের ক্রিকেট ঠিক পথে চলছে না—এমন অভিযোগ এনে ধর্মঘটের ডাক দেন ক্রিকেটাররা। তার আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের বেতন বাড়ানোসহ মোট ১১ দফা দাবি পেশ করেন।
আজ তাদের সেই ১১ দফা দাবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও দুটি দফা। এই দুটি হলো—বোর্ডের রাজস্বের ন্যায্য ভাগ দেওয়া ও নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে পুরুষ ক্রিকেটারদের বেতনের ভারসাম্য।
অন্য দাবিগুলোর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে নতুন কিছু শর্ত। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) কমিটির পদত্যাগ করতে হবে এবং পেশাদার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গঠন করতে হবে। এছাড়া বিপিএল এবং প্রিমিয়ার লিগ ভিন্নভাবে হতে হবে। তাদের পারিশ্রমিক বাড়াতে হবে। বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে পারিশ্রমিকের বৈষম্য করা যাবে না।
ক্রিকেটারদের দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাজির হয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন দাবি করেন, ক্রিকেটারদের দাবিগুলো ‘অযৌক্তিক’। শুধু তাই না, তার মতে এসব করা হচ্ছে দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে।
আজ দুপুরে বিসিবি সভাপতি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বোর্ড পরিচালক নাঈমুর রহমান। গণভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ক্রিকেটারদের সব দাবি মেনে নিতে প্রস্তুত বোর্ড। তিনি ক্রিকেটারদের আলোচনার কথা বলেন।
তবে সাকিব-মুশফিকরা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা না করে গুলশানের একটি হোটেলে জমায়েত হন। বোর্ডের সঙ্গে তারা কখন আলোচনায় বসবেন সেটি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
সাকিব আরও জানান, বোর্ডের কারও সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষোভ, দুঃখ কিংবা রাগ নেই। আমরা সবাই মিলেই ক্রিকেট বোর্ড। দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। এখানে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। আমরা খেলতে চাই। মাঝে মাঝে কিছু দাবি-দাওয়া থাকে। তাই এবার আমরা এই দাবিগুলো তুলেছিলাম। আর ব্যক্তিগত আক্রমণ করার আমাদের কারও ইচ্ছে নেই। বিসিবির প্রতি আমাদের সম্মান ছিল, এখনও আছে। প্রতিটা প্লেয়ারই চায় খেলতে, সুস্থ থাকতে এবং তাদের পরিবারকে সাপোর্ট করতে চায়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আজ রাতেই বিসিবির সাথে বসতে ইচ্ছুক ক্রিকেটাররা।