ক্রিকেটারদের খেলা বয়কটের সিদ্ধান্তকে যড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ভারত সফর বাতিল করার জন্যই এই যড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে আমরা ষড়যন্ত্রের নাটের গুরু বের করব।
সাকিব-তামিমদের ধর্মঘট নিয়ে মঙ্গলবার বিসিবি কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি কর্তা পাপন জানান, ক্রিকেটারদের কিছু বলার থাকলে আমাদের কাছে এসে বলবে। কিন্তু মিডিয়ার কাছে কেন। মাশরাফি-সাকিবদের চাওয়ায় তাদের বেতন বাড়িয়ে চার লাখ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়া হয়েছে ২৪ কোটি টাকা। অর্থের জন্য তারা খেলা বন্ধ করবে বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। ওরা এখন চায় ভারত সফরে যদি না যায়, তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। কিছুদিনের জন্য সময় চাইছি। সবকিছু প্রকাশ করা হবে।’
তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্রের কথা দুই-একজন ক্রিকেটার জানে। অন্যরা না জেনে ধর্মঘটে এসেছে। তারা প্রথম ষড়যন্ত্রে সফল না হয়ে দ্বিতীয় ধাপে ক্রিকেটারদের ব্যবহার করছে। ক্রিকেটাররা মিডিয়ার কাছে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়ায় আইসিসি, এসিসি থেকে শুরু করে সব জায়গায় আমাদের জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় ওরা তাই সফল হয়েছে। তবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের আলাপের পথ খোলা আছে।’
খেলোয়াড়দের উদ্দেশে তিনি সরাসরিই বলেছেন, ‘এমন ভাব দেখাচ্ছে যে আমরা কিছুই করছি না। তোমরা না খেললে আমাদের কী করার আছে।’ এরপর বিসিবির সাম্প্রতিক কিছু কাজের উদাহরণ টানেন নাজমুল হাসান।
এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন। সব বয়কট করায় পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসেন বিসিবি’র কর্মকর্তারা। দুপুর ১২টায় ঢাকার মধ্যে থাকা বিসিবি পরিচালকদের নিয়ে এই বৈকঠ বসার কথা ছিল। তবে কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় ওই বৈঠক।