ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্রোহিতাসহ চারটি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি তদন্ত কমিটি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ট্রাম্প হেরে গেলে ক্ষমতা হস্তান্তর ঠেকাতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে হামলা চালায় তার সমর্থকরা। হট্টগোল করে ভবনের ভেতরে প্রবেশ এবং ভাঙচুরও চালায় রিপাবলিকান পার্টির কর্মীরা।
অভিযোগ ওঠে, ট্রাম্প তাদের থামাননি, বরং উস্কানি দিয়েছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের একটি কমিটি। তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্রোহিতাসহ মোট চারটি অভিযোগে বিচার করার সুপারিশ করেছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে বিচার করা হয় এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে তার ৪০ বছরের জেল হতে পারে। এতে করে সামনের বছর আর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি।
তদন্ত কমিটি ঘটনায় ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা এবং উস্কানি নিয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস তদন্ত করেন। এরপর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছেন তারা। সেগুলো হলো-দ্রোহিতায় উস্কানি ও সহযোগিতা করা, সরকারি কাজে বাধা, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারিত করার চক্রান্ত এবং মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা।
কংগ্রেসের তদন্ত কমিটি এ ধরনের সুপারিশ করার পর এর বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটিকে ‘ক্যাঙ্গারু আদালত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে বিচার করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে বিচার বিভাগ। কংগ্রেসের তদন্ত কমিটির সুপারিশ পালন করতে বাধ্য নন তারা। কংগ্রেসের তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ করেছে তা পুরোটাই প্রতীকী।
এর আগে গত অক্টোবরে দাঙ্গার ঘটনায় প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ ও সাক্ষ্য দিতে ট্রাম্পকে তলব করেছিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের তদন্ত প্যানেল। ওই সময় ট্রাম্পকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে আপনিই প্রথম কোনো ব্যক্তি যিনি নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনি জানতেন, এ ধরনের কাজ অবৈধ ও অসাংবিধানিক। তবে এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। এর আগে এই তদন্তকে গত মাসে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে ভোটারদের দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা বলেও অভিহিত করেছিলেন ট্রাম্প।
ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ জনকে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন।