রূপচর্চায় দীপিকার নাকি চরম অনীহা। দীপিকাকে দেখে অবশ্য সে কথা বিশ্বাস করতে খানিক কষ্ট হয়। ঝকঝকে চেহারা, জেল্লাদার মসৃণ ত্বক, ঝলমলে চুল— কোনও বিশেষ যত্ন ছাড়াই এমন সৌন্দর্য পাওয়া কি সত্যি সম্ভব? অনেকের মনেই এমন প্রশ্ন জন্ম নেয়।
পেশাগত প্রয়োজনে এবং ছবির চরিত্রের জন্য সাজগোজ করতেই হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে দীপিকার সাজগোজ যে প্রচণ্ড জমকালো, তা নয়। মাঝেমাঝে বিমানবন্দরে এমন বেশে উপস্থিত হন নায়িকা যে, দেখে মনে হবে তিনি সদ্য ঘুম থেকে উঠেছেন। এমন অগোছাল সৌন্দর্য অবশ্য তাঁকে মানায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী সাজতে ভালবাসেন তিনি। কিন্তু তাই বলে দীপিকা ত্বকের যত্নে কিছুই করেন না, সে কথা ঠিক মেনে নেওয়া যায় না। সারা জীবনে তিনি কম সাক্ষাৎকার দেননি। কোনও বারই নিজের মুখে রূপচর্চার রহস্য ফাঁস করেননি। তবে রহস্য তো একটা রয়েছেই। নিজেরা স্বীকার না করলেও নায়িকাদের অনেক গোপনীয়তাই প্রকাশ্যে চলে আসে অনেক সময়ে। অনেকেই হয়তো জানেন না দীপিকা সাবান ব্যবহারই করেন না। সাবান ত্বক রুক্ষ করে তোলে। খসখসে হয়ে যায়। তাই সাবান ব্যবহার করা থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন তিনি।
সাবান না মাখলেও দীপিকা লুফা ব্যবহার করেন। লুফা এমনিতেই ত্বকের জন্য বেশ ভাল একটি সামগ্রী। দীপিকার মতো অনেকেই লুফা ব্যবহার করেন। কিন্তু দীপিকা শুধু লুফাটাই ব্যবহার করেন। এতে নাকি ত্বকের যাবতীয় মরা কোষ দূর হয়। ত্বক উজ্জ্বল হয়। রক্ত চলাচলও ভাল থাকে।
ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে লুফা খুবই উপকারী একটি বস্তু। তবে লুফা ব্যবহারের আগে এক বার গরম জলে ভিজিয়ে নেওয়া জরুরি। লুফার জাল এমনিতে বেশ শক্ত হয়। ব্যবহারের আগে যদি জলে ভিজিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে সেগুলি নরম হয়। ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না।
লুফা যেমন ত্বকের যত্ন নেয়। তেমনই লুফারও তো যত্ন নেওয়া জরুরি। নয়তো অপরিষ্কার লুফা থেকেই আবার সংক্রমণ ছড়াতে পারে। লুফার জালে বাসা বেঁধে থাকে নানা ব্যাক্টেরিয়া। যে সব মরা কোষ আর ধুলো-ময়লা শরীর থেকে তুলে নেয় লুফা, সেগুলি তাতেই আটকে থাকে।
একই লুফা যত বার ব্যবহার করবেন, ততই ব্যাক্টেরিয়া ত্বকে বাসা বাঁধতে শুরু করবে। তাই লুফা ব্যবহারের পর সেটা স্নানঘরে না রেখে দিয়ে জামাকাপড়ের সঙ্গে রোদে শুকিয়ে নিন। যাতে পর্যাপ্ত আলো, বাতাস লুফার গায়ে লাগতে পারে। এতে লুফা থাকা ব্যাক্টেরিয়া সহজে মরে যাবে।