ভেনিজুয়েলায় তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ব্যাপকভাবে শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা চুক্তির ফলে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করল বাইডেন প্রশাসন। খবর-রয়টার্স
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ একটি নতুন সাধারণ লাইসেন্স জারি করেছে যাতে ওপেকভুক্ত ভেনিজুয়েলাকে যুক্ত করা হয়েছে। এতে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য কোনো বাধা ছাড়াই ভেনেজুয়েলা তার পছন্দের বাজারে তেল উৎপাদন ও রপ্তানি করতে পারবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোর নির্বাচনী ছাড়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন তাকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বিরোধী রাষ্ট্রপতি প্রার্থীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সময় দিচ্ছে। এছাড়া রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং ‘ভুলভাবে আটক’ আমেরিকানদের মুক্তি দেওয়ার জন্য এই সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মাদুরো সরকার এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন না করলে নিষেধাজ্ঞা আবার বলবৎ করা হবে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো ওই নির্বাচনকে একটি ‘ছলনা’ অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৯ সালে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্র পরিচালিত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ’কে তার পছন্দের বাজারে তেল রপ্তানিতে নিষিদ্ধ করে।
মার্কিন এসব পদক্ষেপের পর গত কয়েক মাসের আলোচনায় কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের জন্য দেশটিকে চাপ দিয়ে আসছিল বাইডেন প্রশাসন।
ভেনিজুয়েলার ক্ষমতাসীন দলের নেতা জর্জ রদ্রিগেজ যিনি বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো তেল কার্যক্রমকে প্রভাবিত করেছে। ভেনিজুয়েলায় বিনিয়োগের জন্য কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানির আসার পথ সম্পূর্ণ উন্মুক্ত।
মাদুরোর সরকার এবং বিরোধী দল আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ভোটের বিষয়ে মঙ্গলবার একটি চুক্তিতে পৌঁছে। নরওয়ের মধ্যস্থতায় বার্বাডোজে এ চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়।