এ সময়ের বলিউড তারকাদের মধ্যে অনন্যা পান্ডে সবচেয়ে দুর্ভাগা। কারণ, তিনি যা কিছুই করেন না কেন, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রোলের শিকার হতে হয়। অভিনয় দিয়ে যখন দর্শকের মনোযোগ কাড়তে ব্যর্থ- তখন তো কেউ ছেড়ে কথা বলবেই না। এবার এরই প্রমাণ পাওয়া গেল ‘লাইগার’ ছবির ব্যবসায়িক ভরাডুবিতে। এই ছবির ব্যর্থতার সব দায় অনন্যার ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। শুধু দর্শক বিদ্রুপে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ‘লাইগার’-এর ব্যর্থতার পেছনে দর্শক যতটা চিত্রনাট্যের দুর্বলতার কথা বলেছেন, এরচেয়ে বেশি দায়ী করেছেন অনন্যাকে। বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখে পয়সাও ফেরত চেয়েছেন ক্ষুব্ধ দর্শক।
তাঁদের দাবি, অনন্যাকে এ ছবিতে নেওয়া উচিত হয়নি। অভিনয় তিনি একেবারেই করতে পারেননি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, বলিউডে নির্মিত এই ছবির মূল আকর্ষণ ছিল দক্ষিণ ভারতীয় ছবির আলোচিত অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডার উপস্থিতি। যে কারণে ছবি নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশাও ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু নির্দেশনা এবং দুর্বল চিত্রনাট্যের কারণে ছবিটি বক্স অফিসে পুরোপুরি ধরাশায়ী হয়েছে।
চলচ্চিত্র সমালোচকদের কথায়, পুরি জগন্নাথ ছবিটি নির্মাণে মুনশিয়ানার পরিচয় দিতে পারেননি। চিত্রনাট্যও ছিল দুর্বল। তাই দক্ষিণী বড় সুপারস্টারকে নিয়েও দর্শকহৃদয় জয় করতে ব্যর্থ হতে হয়েছে।
তবে চলচ্চিত্র সমালোচকরা যা-ই বলুক না কেন, দর্শক সরব অনন্যার দুর্বল অভিনয় এবং সংলাপ নিয়ে। যে কারণে নেট দুনিয়ায় অনন্যার নিন্দায় ভেসে যাচ্ছে ‘লাইগার’সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট। কিন্তু এত কিছুর পরও অনন্যা পান্ডে কোনো মন্তব্য করেননি।
বলিউড বাসিন্দাদের অনেকের মতে, এমন পরিস্থিতিতে নীরব থাকাই শ্রেয়। এটা জেনেই এই দুঃসময়ে অনন্যা মুখ খোলার সাহস দেখাননি।