দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের পরও কেউ কর্মসূচির নামে রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ওপর সর্বোচ্চ আদালত চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। ফলে আজ থেকে শিক্ষার্থীদের আর জনদুর্ভোগ করার কোনো অবকাশ আছে বলে ডিএমপি মনে করে না। যারা আন্দোলন করছেন তাদের প্রতি পুলিশের অবশ্যই ভালোবাসা, সহমর্মিতা আছে। কিন্তু একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে দেশের প্রচলিত আইন ও সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আমরা বাধ্য। সে জায়গা থেকে যেহেতু শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত, ফলে ডিএমপির পক্ষ থেকে আমি বিনীত অনুরোধ করছি তারা যেন জনদুর্ভোগ হয় এমন কোনো কর্মসূচি না দেয়।
তিনি বলেন, এটা মনে রাখতে হবে যে, ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নগরবাসীর নিরাপত্তা, চলাফেরা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাধ্য। কাজেই আমরা আশা করব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আবেদন, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা… তারা মানবেন। আদালতের নির্দেশনাও শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছে।
আন্দোলনের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা চলছে, গত ৭ জুলাই রথযাত্রা হয়েছে, এরপর আবার রথযাত্রা আছে, আশুরার অনুষ্ঠান আছে। যেহেতু এটা সেটেলড হয়ে গেছে, সুতরাং ফারদার কোনো কর্মসূচি দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না।
তিনি বলেন, এরপরও যদি কেউ নিজেদের অবস্থানে থাকেন বা আমাদের কথা না শোনেন, আদালতের নির্দেশনা না মানেন… তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ আমাদের জবাবদিহিতা সবার কাছে, সবার অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।