টলিপাড়ায় ঘসেটি বেগমের বায়োপিক তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। নেপথ্যে রয়েছেন পরিচালক অর্জুন দত্ত। আর তাতে প্রধান চরিত্রে এগিয়ে আছেন ঢাকার জয়া আহসান আর কলকাতার স্বস্তিকা মুখার্জি। শোনা যাচ্ছে পাওলি দামের নামও। তবে গুঞ্জনের পাল্লা ভারী জয়া আহসানের দিকেই। তাকেই নাকি বেশি মানাবে এই চরিত্রে।
ঢাকা থেকে জানতে চাইলেও টলিউডের এই গুঞ্জনের কোনও জবাব দেননি জয়া আহসান।
তার আগে বাংলার ঐতিহাসিক চরিত্র ঘসেটি বেগম সম্পর্কে খানিক মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। বাংলার নবাব আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা ঘসেটি। সম্পর্কে তিনি ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে পরাজিত হন নবাব সিরাজ। ঘসেটি ছিলেন সেই সময়ের বাংলার অন্যতম প্রভাবশালী নারী। কথিত আছে, সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মীর জাফরকে নাকি সাহায্য করেছিলেন ঘসেটি। সে দিক থেকে অনেকেই ঘসেটির নামের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা জুড়ে দেন। কিন্তু এ রকমও দাবি রয়েছে, নিজের অজান্তেই নাকি তিনি এই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
সেই ঘসেটি বেগমের জীবনীই এবার টলিউডের বড় পর্দায় হাজির করতে চলেছেন অর্জুন দত্ত।
এই বায়োপিক নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন পরিচালক। তবে ছবির বাজেট নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় আরও সময় লাগছে।
কিন্তু ঘসেটির চরিত্রে কে অভিনয় করবেন? এর আগে অর্জুনের ‘গুলদস্তা’ এবং ‘শ্রীমতী’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। তাই টলিপাড়ার একটি সূত্রের দাবি, এই চরিত্রের জন্য স্বস্তিকাকেই পছন্দ পরিচালকের। অন্য একটি সূত্রের দাবি, ছবির বিষয় ভাবনার কথা চিন্তা করেই প্রস্তাব গিয়েছে জয়া আহসানের ঘরে। কারণ, ছবির সময়কাল এবং তৎকালীন বাংলার নবাবি পোশাকের সঙ্গে জয়ার লুক বেশি মানানসই হবে বলেই মনে করছেন নির্মাতারা। আবার এই চরিত্রের অভিনেত্রী হিসাবে উঠে আসছে পাওলি দামের নামও। যদিও শেষ পর্যন্ত কাকে ঘসেটির চরিত্রে দেখা যাবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার যোগাযোগ করে অর্জুন দত্তের সঙ্গে। পরিচালক অবশ্য কিছুটা সাবধানী পথে মন্তব্য করলেন। বললেন, ‘চরিত্রটা নিয়ে এক সময় আমি পড়াশোনা করেছি। নারী মনস্তত্ত্ব নিয়ে কাজ করতে আমি সব সময়েই পছন্দ করি। কখনও সুযোগ পেলে ওকে (ঘসেটি) নিয়ে ছবি করতেই পারি’
পরিচালক অস্বীকার করলেও সূত্র বলছে, জোরকদমে এই ছবির প্রস্তুতি চলছে। কাস্টিং এবং লোকেশন চূড়ান্ত হলে খুব দ্রুত ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন অর্জুন।