দুর্নীতিবাজ-অপরাধী কাউকে সরকার ছাড় দেবে না, আবারও এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কাজের ক্ষেত্রে কোনোরকম দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। এর পরও যদি কেউ দুর্নীতি করে, কোনো মুখ চাওয়া-চাওয়ি হবে না। সে যেই হোক, আমি কিন্তু কোনো ছাড় দেব না।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে ঢাকার দুই মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে শপথবাক্য পাঠ করানোর পর এসব কথা বলেন।
এসময় ঢাকা মহানগরীতে চলমান মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়নে নব-নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সহযোগিতাও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। খবর ইউএনবির
সরকার ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি চান এসব উন্নয়নমূলক কাজে যেন কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম না হয়। যদি এ জাতীয় ঘটনা ঘটে, তবে আমি কাউকেই ছাড়ব না, সে যেই হোক না কেন। কারও সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করা হবে না।
ডেঙ্গুর উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে আগে থেকেই সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়রকে বলেন, ‘আপনারা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, মশা কিন্তু ভোট খেয়ে ফেলবে’।
তিনি বলেন, ঢাকায় যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করবেন। মশার উপদ্রব কমাবেন। ক্ষুদ্র প্রাণী হলেও মশা কিন্তু খুবই শক্তিশালী। মশাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। তা না হলে মশা কিন্তু আপনার ভোট খেয়ে ফেলবে।
শপথ নিলেও এখনই দায়িত্ব বুঝে পাচ্ছেন না নবনির্বাচিত মেয়ররা। কারণ দুই সিটির মধ্যে বর্তমান মেয়রদের পাঁচ বছরের মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। ডিএনসিসি বর্তমান মেয়রের মেয়াদ শেষ হবে ১৩ মে এবং ডিএসসিসি মেয়রের মেয়াদ শেষ হবে ১৭ মে।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জয়ী হন।
মেয়র পদ ছাড়াও ডিএসসিসি-তে ১০০টি কাউন্সিলর পদের মধ্যে ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে ৭৫ জন সাধারণ কাউন্সিল এবং ২৫ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর রয়েছেন। আবার ডিএনসিসির ৭২টি কাউন্সিলর পদের মধ্যে ৫৪টি ওয়ার্ড থেকে ৫৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর রয়েছেন।