ফিনল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন স্বামী মার্কাস রাইকোনেনের সঙ্গে যৌথভাবে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। পৃথক ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তারা বলেছেন, ‘আমরা ১৯ বছর একসঙ্গে থাকার জন্য এবং আমাদের প্রিয় মেয়ের জন্য কৃতজ্ঞ। আমরা সেরা বন্ধু থাকবো।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ ১৯ বছর একসঙ্গে থাকার পর মার্কাস রাইকোনেনের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন সানা মারিন। ৩৭ বছর বয়সী মারিনের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে, যার নাম এমা আমালিয়া মারিন।
প্রায় তিন বছর আগে ২০২০ সালের আগস্টে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। তবে ১৮ বছর বয়স থেকে একসঙ্গে থেকেছেন এই দম্পতি।
বিয়ের পর মারিন ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, আমরা আমাদের যৌবন একসঙ্গে কাটিয়েছি। একসঙ্গে যৌবনে প্রবেশ করেছি এবং আমাদের প্রিয় মেয়ের বাবা-মা হয়েছি।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান মারিন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন একাধিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
গত বছরের আগস্টে ফিনল্যান্ডের গায়ক ওলাভি উসিভির্তার (৩৯) সঙ্গে গোপনে নাচতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী মারিনকে। তখন উসিভির্তা দাবি করেন, তিনি এবং মারিন কেবল ‘বন্ধু’ ছিলেন এবং হেলসিঙ্কি নাইটক্লাবে তাদের মধ্যে ‘তেমন কিছু’ ঘটেনি।
সে সময় ফিনল্যান্ডের গণমাধ্যমকে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিলেন, মারিন একইভাবে আরও দু’জনের সঙ্গে নেচেছিলেন এবং আরও দু’জনের কোলে বসেছিলেন।
২০১৯ সালে ৩৭ বছর বয়সে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের সময় বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় নাম ওঠে মারিনের। সে সময় ভক্তরা বিশ্বব্যাপী প্রগতিশীল নতুন নেতাদের জন্য মারিনকে ‘রোল মডেল’ হিসাবে বিবেচনা করতেন।
সিএনএন বলছে, সানা মারিন তার পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ২০ বছর বয়সে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে চলে আসেন। এরপর তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হন।