বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১২ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। ১৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করতে সক্ষম হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আশা জাগিয়েও দ্রুতই আউট হন মেহেদী মিরাজ। দলীয় ২৬ রানে ৯ বলে ৬ রান করে আউট হন মিরাজ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। এনামুল বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
দলীয় ৫০ রানে ১২ বলে ২১ রান করে আউট হন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এরপর দলীয় ৭২ রানে ফের উইকেট হারায় বরিশাল। ২০ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিজয়।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন সাকিব। তবে দলীয় ১২২ রানে ২০ বলে ২৭ রান করে আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। একদিকে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে নিজের সাবলীল ব্যাটিংয়ে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন সাকিব আল হাসান।
ফিফটির পর কুমিল্লার বোলারদের ওপর আরও চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন সাকিব। তবে দলীয় ১৬০ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় বরিশাল। ৮ বলে ৫ রান করে ইফতিখারের বিদায়ের পরে ক্রিজে এসেই পরের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল।
সাকিব ৪৫ বলে ৮১ ও কানাত করিম ৪ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার পক্ষে স্পিনার তানভির ইসলাম ৪টি, নাইম ও খুশদিল নেন ১টি করে উইকেট।
১৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লাকে ভালো শুরু এনেই দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে দলীয় ৪২ রানে ১১ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রিজওয়ান। রিজওয়ানের বিদায়ের পর দ্রতই সাজঘরে ফিরে যান দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা লিটন দাস।
দলীয় ৫৭ রানে ২৬ বলে ৩২ রান করে আউট হন লিটন। এরপর আউট হন ভালো ব্যাটিং করতে থাকা কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দলীয় ৮২ রানে ১৫ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর দলীয় ৯৯ ও ১০০ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় কুমিল্লা। ১৬ বলে ১৪ রান করে ওয়ালটন ও ৩ বলে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান জাকের আলি।
তবে এরপর কুমিল্লাকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন মোসাদ্দেক ও খুশদীল। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ৩১ রান প্রয়োজন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১৫৪ রানে ১৯ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মোসাদ্দেক। এরপর ক্রিজে আসেন হাসান আলি। এই ওভারে ৭ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৪ রান প্রয়োজন হয় কুমিল্লার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। ফলে ১২ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। এই নিয়ে টান তিন ম্যাচে তিন হারের মুখ দেখলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অন্যদিকে টানা তৃতীয় জয়ের দেখা পেলো ফরচুন বরিশাল।