সামাজিক পাতায় লিখেছেন, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’! অনুরাগীরা বলছেন, আসলে ‘বহুত কুছ হোতা হ্যায়’! কথা হচ্ছে চঞ্চল চৌধুরী, শ্রীলেখা মিত্রকে নিয়ে।
শুক্রবার দুই বাংলার তারকারা জড়ো হয়েছিলেন পুরস্কার মঞ্চে। সেখানেই চঞ্চল চৌধুরীর হাত থেকে পুরস্কৃত হলেন অভিনেত্রী। সেই ছবি সামাজিক পাতায় দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। কাককাতীয় ভাবেই দুই তারকার পোশক মিলে গিয়েছে এ দিন। সবুজে অবুঝ যেন দু’জনেই! তাই দেখে অনুরাগীদের দুষ্টুমি, শ্রীলেখার মন বুঝি দারুণ ‘চঞ্চল’!
শ্রীলেখা নিজে কী বলছেন? তাঁর দাবি, ‘‘বুদ্ধি, মেধা আর মনন কোনও পুরুষকে ঘিরে থাকলে মন থেকে শ্রদ্ধা জাগে। আমার কাছে চঞ্চল চৌধুরী সে রকমই। অনেক দিন পরে কাউকে দেখে এত ভাল লাগল।’’
স্মৃতিপথে হেঁটে শ্রীলেখা তুলে এনেছেন আরও কিছু কথা। জানিয়েছেন, বহু দিন আগে আরও একবার এভাবেই কোনও মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। তখনও এ রকমই পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এমন প্রতিভার সঙ্গে কাজ করার জন্যই মুখিয়ে তিনি।
চঞ্চলের ‘মনপুরা’, ‘হাওয়া’, ‘কারাগার’ দেখে তিনি মুগ্ধ। আর লাজুক ভঙ্গিতে পাশে দাঁড়ানো? শ্রীলেখার রসিকতা, ‘‘মনে মনে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়দের যুগে ফিরে গিয়েছিলাম। তখনকার উপন্যাসের নায়কেরা খাঁটি বাঙালি হতেন। চঞ্চলদাও তাইই। ভীষণ ভদ্র, অমায়িক, আন্তরিক। সারাক্ষণ যেন মাটির গন্ধ মেখে থাকেন!’’ কোনও নকলনবিশী নেই। কী সাজে, কী কথায়! অভিনেতার এই গুণই শ্রীলেখারও ভাল লেগেছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি শ্রীলেখা প্রযোজক-পরিচালকও। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর এবং ছাদ প্রশংসিত। একই ভাবে প্রশংসিত শ্রীলেখা অভিনীত ‘ওয়ান্স আপঅন এ টাইন ইন কলকাতা’।
চঞ্চলের পাশে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রীর অনুভূতি, তাঁদের জুটি বানিয়ে ছবি হতেই পারে। একই সঙ্গে তাঁর লাজুক ভঙ্গি বলে দিয়েছে, বাকিদের মতো শ্রীলেখাও দুই বাংলার প্রিয় অভিনেতার প্রতিভায় মজে। শ্রীলেখা দুই বাংলার পরিচালকদেরই এই অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁদের জুটি দর্শকদের পছন্দ হবে— একবাক্যে সায় দিয়েছেন অনুরাগীরাও।
চঞ্চল সম্প্রতি এপার বাংলায় কাজ করলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে। ১৪ মে মৃণাল সেনের শতবর্ষ। ‘পদাতিক’ ছবিতে তাঁর জীবনই ধরছেন সৃজিত। সেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার তারকা অভিনেতা। পর্দায় তাঁর স্ত্রী ‘গীতা সেন’ মনামী ঘোষ। জানুয়ারির শেষ থেকে মার্চ পর্যন্ত দফায় দফায় শ্যুট সারেন তিনি। ছবির ডাবিংয়ের কাজও শেষ। সম্ভবত শীতে মুক্তি পাবে মৃণাল সেনের জীবনীছবি।