দক্ষিণ কোরিয়া সংসদে কুকুরের মাংস খাওয়া ও বিক্রি বন্ধ করার জন্য ভোট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় আজ এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে প্রাণীদের কল্যাণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দেশটির শতাব্দী-প্রাচীন বিতর্কিত অভ্যাসের অবসান ঘটাবে।
এক সময় গ্রীষ্মে শরীরের শক্তি বৃদ্ধির উপায় হিসেবে কুকুরের মাংস খাওয়া হতো কোরিয়ায়।
বর্তমানে অভ্যাসটি বেশ কমে এসেছে। বেশিরভাগই ক্ষেত্রে এখন শুধু কিছু বয়স্ক ব্যক্তিরা কুকুরের মাংস খেয়ে থাকেন। কারণ বেশিরভাগ কোরিয়ানরা কুকুরকে পারিবারিক পোষা প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করেন। কিন্তু কোরিয়ায় যেভাবে কুকুর জবাই করা হয় তা নিয়ে বেশ সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, জবাই করার সময় বেশিরভাগ কুকুরকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা হয় বা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। যদিও ব্যবসায়ীরা যুক্তি দিচ্ছেন, জবাই করার পদ্ধত্তি আরো মানবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওলের অধীনে কুকুরের মাংস খাওয়া ও বিক্রি বন্ধ করার প্রতি সমর্থন বেড়েছে। কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রস্তাবিত এই বিলটি সোমবার সংসদে তোলা হয়।
পাস হলে আইনটি তিন বছরের একটু বেশি সময় পর কার্যকর হবে। আইন ভঙ্গ করলে তিন বছরের জেল বা ৩০ মিলিয়ন ওয়ান (২২ হাজার ৯০০ ডলার) জরিমানা হতে পারে।
প্রাণী সুরক্ষা গোষ্ঠী হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল কোরিয়ার বোরামি সিও বলেছেন, ‘বিল পাসের মাধ্যমে মানুষের খাওয়ার জন্য কুকুরের প্রজনন এবং হত্যার অবসান ঘটবে। আমরা এই নিষ্ঠুর শিল্প থেকে লক্ষ লক্ষ কুকুরকে বাঁচানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছি।‘এর আগে কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে ব্যর্থ হয়েছিল।
নতুন প্রস্তাবিত বিলে এবার বিলটি ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে ব্যবসাগুলো এই বাণিজ্য থেকে সরে আসতে পারে।