কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স (লোহার সিন্দুক) খোলা হয়। সেখান থেকে এবার মোট ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এখন চলছে টাকা বাছাই ও গণনার কাজ।
এদিন দানবাক্স খোলার সময় ছিলেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। আর টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ ও রূপালী ব্যাংকের এজিএম রফিকুল ইসলাম। টাকা বাছাই ও গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন মসজিদসংলগ্ন মাদরাসার ১১২ ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ ও মসজিদ কমিটির ৩৪ জন সদস্য।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর পাগলা মসজিদের নয়টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। সে সময় গণনা করে রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়। তাছাড়াও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া যায়। গণনা শেষে আজই প্রাপ্ত টাকা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে বলে মসজিদ কমিটি সূত্র জানায়।
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমপ্রান্তে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমির ওপর দুইশ বছরেরও পুরনো ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। এই মসজিদকে ঘিরে রয়েছে অনেক জনশ্রুতি। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে দান ও মানত করতে আসেন। তাছাড়া প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে আসেন। ওইগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। মসজিদের দান থেকে পাওয়া অর্থ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।