ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে কাশ্মীর পরিস্থিতি। নিয়ন্ত্রণরেখায় দু’দেশের সেনাদের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান।
রোববার দুই পক্ষের গোলাগুলিতে প্রায় ডজনখানেক প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের গুলিতে উভয়পক্ষই নিজেদের সেনাসহ বেসামরিক নাগরিক নিহতের দাবি করেছে। খবর ডন, জিয়ো নিউজ ও এনডিটিভির।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিতর্কিত এলাকায় নয়াদিল্লির আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরই এমন ঘটনা ঘটল। এই ঘটনার জন্য উভয় দেশের কর্মকর্তারা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর থেকে রোববার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই সদস্য ও এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাক সেনাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই সদস্যের প্রাণহানির প্রতিশোধ নিতে রোববার সকালের দিকে হামলা শুরু করে ভারত। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তাদের সাতজন এবং ভারতের পক্ষ থেকে তিনজন নিহতের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডন জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে পাকিস্তানের এক সেনাসদস্য ও ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ২০১৯ সালে একদিনে ভারতীয় বাহিনীর হামলায় এটিই সর্বোচ্চ প্রাণহানি। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও নয়জন।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারতের গুলিতে তাদের এক সেনা শহীদ হয়েছেন এবং আরও দুই সেনা আহত হয়েছেন।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখার জুরা, শাহকোট এবং নওসেরি সেক্টরে বিনা উসকানিতে ভারতের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাব দিয়েছে পাক সেনাবাহিনী। এতে ভারতের ৯ সেনা নিহত হয়েছেন।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতের দুটি বাঙ্কার ধ্বংস হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
এদিকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের চার ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে ভারত।
জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, রোববার ভারতীয় বাহিনীর চালানো এ অভিযানে চার থেকে পাঁচজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে ১০-১৫ বেসামরিক নাগরিককে।
গত ৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রতিবেশী এ দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।