কারাবন্দীদের সঙ্গে চমৎকার বন্ধুত্ব রিয়া চক্রবর্তীর!
অপরাধী মানেই যে খারাপ মানুষ, এ তথ্যও ভুল : রিয়া
রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা সংশোধনাগারে ঠাঁই হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরও যেন এক অন্য রকম রিয়াকেই দেখতে পেয়েছিলেন সকলে!
জেলের বন্দিদের সঙ্গে বেজায় বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলেন রিয়া।
সেখানে তারকাসুলভ আচরণ দূরে সরিয়ে আর পাঁচজনের মতোই থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। যদিও এক মাস পর তিনি ছাড়া পান। কিন্তু এর মাঝেই সকলের বেশ কাছের হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর সেসব গল্পই জানিয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজ। হাজারো কুৎসা এবং খারাপ কথা শোনার পরও রিয়া ভেঙে পড়েননি। বরং হাসি-ঠাট্টায়, আনন্দে মাতিয়ে রেখেছিলেন সকলকে।
সুধা বলেন, ‘কারাগারের সঙ্গীদের সঙ্গে আনন্দে শুধু দিনই কাটাতেন না রিয়া, বরং শেষের দিন দারুণ মজা করেছিলেন। নাচ-গান করেছিলেন। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা দিয়েই মিষ্টি পর্যন্ত আনিয়েছিলেন। এতটা শান্ত ছিলেন যে বলে বোঝানো যাবে না। সকলের প্রতি উদার ছিলেন। কারাগারের অন্যরা তাঁকে ভালোবাসত খুব। বিশেষ করে বাচ্চারা। তাঁকে যেদিন ছাড়া হয়, সেদিন সকলে তাঁকে বিদায় জানাতে নিচে পর্যন্ত গিয়েছিল। ’
সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর জীবনেও অনেক বদল আসে, এ কথা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে প্রাক্তন প্রেমিকের খুনের জন্য তাঁকে দায়ী করা হয়―বিষয়টি তাঁকে কষ্ট দিলেও হাসিমুখেই ছিলেন রিয়া, এমন দাবিই করেছিলেন সুধা। অপরাধী মানেই যে খারাপ মানুষ, এ তথ্যও ভুল। কেস চলছে এখনো।
রিয়া, তাঁর ভাইসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে এনসিবি।