কারাবন্দি অবস্থায় নারীসঙ্গের ঘটনা জঘন্যতম অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, কারাগারের ভেতরে এ ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। যেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবে, বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার গণমাধ্যমকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদের সঙ্গে কারাগারের ভেতরে কারা কর্মকর্তার কক্ষে নারীসঙ্গের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ডেপুটি জেলারসহ তিন জনকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদফতর। প্রত্যাহার হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ডেপুটি জেলার মো. গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর আব্দুল বারী এবং সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমান।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে ফুটেজটি প্রকাশিত হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ওই ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি কারাগারের কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় তুষার আহমেদ ঘোরাফেরা করছেন। কিছুক্ষণ পরই বাইরে থেকে এক নারী সেখানে প্রবেশ করেন। তার পরনে ছিল বেগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইনের উপস্থিতিতেই ওই নারীকে সেখানে দেখা যায়। তাদের সহযোগিতার বিষয়টিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে কারাগারের দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করে।
তাকে সেখানে রিসিভ করেন খোদ ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলায়েন। প্রায় ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দি হলমার্কের জিএম তুষার আহমদকে নিয়ে আসেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবুল কালাম বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।