The news is by your side.

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র:  উৎপাদন বেড়েছে ১৬৮ শতাংশ

0 139

কাপ্তাই হাইড্রোপাওয়ার প্লান্টের পাঁচটি ইউনিটের মোট উৎপাদন সক্ষমতা ২৪২ মেগাওয়াট। ২০২২ সালের শেষার্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে ভরা মৌসুমে সব ইউনিট চালু রাখায় চলতি বছরের শুষ্ক মৌসুমে হ্রদের পানি কমে যায় রেকর্ড পরিমাণ। ফলে একটিমাত্র ইউনিট দিয়ে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পেরেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে এক সপ্তাহের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে বেড়েছে পানির পরিমাণ। তাই সচল করা হয়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরো একটি ইউনিট। এতে কয়েক দিনের ব্যবধানে কেন্দ্রটির উৎপাদন ১৬৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বা প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৩ টাকা ৪৬ পয়সা, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের খরচ ৯ টাকা ১৭ ও ফার্নেস অয়েলের উৎপাদন খরচ ২২ টাকা ১০ পয়সা। অথচ কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ মাত্র ৩৫-৪০ পয়সা (সব ইউনিট সচল রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়া সাপেক্ষে)।

শুষ্ক মৌসুমে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি মাত্র ইউনিট দিয়ে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে ৩০-৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। তবে সোমবার বিকাল থেকে দুটি ইউনিট চালুর মাধ্যমে মোট ৬৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত নিয়মিত হলে ধীরে ধীরে বাকি ইউনিটগুলো চালুর মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বিপিডিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও বিদ্যুতের সংকট ছিল। বর্তমানে আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা কমে এসেছে। তাছাড়া কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটির পরিবর্তে দুটি ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে।’

 

 

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.