কানাডা কুমার, প্রকারান্তরে এটাই নাম হয়ে গিয়েছে অক্ষয় কুমারের। তাঁর কানাডিয়ান নাগরিকত্বের জন্য হামেশাই তাঁকে নিয়ে নানা মশকরা কলেজ বিদ্রুপ করা হয়। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। স্বয়ং অভিনেতা। তিনি জানালেন এই জিনিসটা তাঁকে কতটা আঘাত দেয় যখন মানুষ তাঁর এই কানাডিয়ান নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু না জেনেই নানা মন্তব্য করেন। তিনি এর আগে একবার জানিয়েছিলেন যে তিনি ২০১৯ সালে ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ছিলেন। কিন্তু মহামারির কারণে সেটা পেতে দেরি হচ্ছে। সম্প্রতি তিনি একটি সাক্ষাৎকারে জানান তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান এ দেশে কাজ করতে পেরে, এবং নিজের সাফল্যের সমস্ত ভাগ দেশকেই দেন।
আজতকের সিধি বাতের নতুন সিজনের প্রথম পর্বে অক্ষয় জানান যে সবাই যখন তাঁকে নিয়ে বিদ্রুপ করেন তাঁর খারাপ লাগে। কেউ তাঁর এই কানাডিয়ান নাগরিকত্বের নেপথ্যে থাকা আসল কারণ জানেন না। আর সেটা না জেনেই কটূক্তি করেন।
একে একে ১৪-১৫টি ছবি সফল না হওয়ায় কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন বলিউড এ অভিনেতা। তাই বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবদের বুদ্ধিতে কানাডায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তৈরি করে ফেলেন সেদেশের পাসপোর্টও।
এ বিষয়ে অক্ষয় বলেন, ১৯৯০ সালে আমার একটাও ছবি চলছিল না। ভারতে থেকে কিছু করতে পারছিলাম না। তখন কিছু বন্ধুর কথায় ভাগ্যান্বেষণের উদ্দেশ্যেই কানাডায় চলে যাব ঠিক করি। তবে ভারত আমাকে সব কিছু দিয়েছে। আজকে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে তা এদেশের জন্যই। তাই আমি যা কিছু অর্জন করেছি, সব এখান থেকেই। যদি আবার ফিরতে পারি, সেই সুযোগ খুঁজছি।
খুব শিগগিরই ভারতের নাগরিক হতে চলেছেন ‘খিলাড়ি’ খ্যাত এই অভিনেতা।
গত বছর এই বিষয়ে অভিনেতা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছিলেন, আমি ২০১৯ সালে আবেদন করেছিলাম। আর সেটার ২-২.৫ বছরের মধ্যেই সব বন্ধ হয়ে গেল মহামারির জন্য। কানাডা থেকে এখনও সেখানকার নাগরিকত্ব ছাড়ার চিঠি পেয়েছি সদ্য। এবার জলদি আমার পাসপোর্ট এসে যাবে এই দেশের।