The news is by your side.

কানাডাকে উড়িয়ে কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

0 112

 

গোল, জয়, কর্তৃত্ব; কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার খেলায় সবই ছিল। শুধু গোল পাচ্ছিলেন না লিওনেল মেসি। কানাডার বিপক্ষে গোল খরা কাটল দেশের জার্সিতে টানা চার শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে থাকা এই তারকার। হুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে লিও’র গোলে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোপার আরেকটি ফাইনালে পা রেখেছে আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা।

বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে লাস ভেগাসের মেট লাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২২ মিনিটে প্রথম লিড নেয় গত আসরের কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা। মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলের বাড়িয়ে দেওয়া পাসে শট নিয়ে বল জালে পাঠান শুরুর একাদশে ফেরা হুলিয়ান আলভারেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে তার জায়গায় শুরুতে খেলেছিলেন দারুণ ছন্দে থাকা লওতারো মার্টিনেজ।

দ্বিতীয় হাফে অবশ্য দাপট দেখিয়েছে কানাডা। তবে ম্যাচের ৫১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার তোলা আক্রমণ কানাডার বক্স থেকে ফিরে বাইরে থাকা এনেজোর কাছে আসে। জোরের ওপর ভলি নেন চেলসিতে খেলা তরুণ এই মিডফিল্ডার। মেসি ওই শটে আলতো করে পা ছুঁইয়ে জালে পাঠিয়ে দেন।

পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও নেই কানাডা। তবুও সেমিফাইনাল বলে কথা। একটু এদিক-ওদিক হলেই হয়ে যেতে পারে বিপদ। এমন ম্যাচে সর্বোচ্চটা দেওয়ার মিশনেই মাঠে নেমেছে দুদল।

তবে ম্যাচের শুরুর ১০ মিনিটে আর্জেন্টিনার চেয়ে বরং দাপট দেখিয়েছে কানাডাই। ম্যাচের প্রথম আক্রমণটাও আসে কানাডার পক্ষ থেকে। চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। সপ্তম মিনিটে আরেকবার আক্রমণে কানাডা। এবারও আর্জেন্টিনার ডি বক্সের বামপাশ থেকে ভুল শটে সুযোগ হারায় কানাডিয়ানরা।

পাল্টা আক্রমণে ১২তম মিনিটে প্রথম সুযোগা সে আর্জেন্টিনার সামনে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে যান ডি মারিয়া। প্রতিপক্ষের ডি বক্সের ডানপাশে গিয়ে তিনি বল বাড়ান লিওনেল মেসিকে। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়কের পা পায়ের জোরালো শট গোলপোস্টের পাশ ঘেঁষে চলে যায় বাইরে।

তবে হতাশা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ২২তম মিনিটেই দারুণ গোলে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দিয়েছেন আলভারেজ। যা কোপা আমেরিকায় এই তারকার দ্বিতীয় গোল।

এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে ৬০ ভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ৮ বার আক্রমণে যায় লাতিন আমেরিকার দলটি। অন্যদিকে ৪০ ভাগ বলের নাগাল পাওয়া কানাডা আক্রমণে যায় চারবার।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গে শুরু করে আর্জেন্টিনা। যে কারণে গোল করতেও বেশি দেরি হয়নি তাদের। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। এনজো ফার্নান্দেজের জোরালো মেসির বাঁপায়ে লেগে কানাডা জালে গিয়ে জমা হয়। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।

এই অর্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য দারুণ চেষ্টা চালিয়েছে কানাডা। প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও এবার উপরে এসেছিল তারা। বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল তারা। তবে সফলতা আসেনি।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনাও একের পর এক আক্রমণ করে কানাডা রক্ষণভাগকে ব্যস্ত করে তোলে। ৬১ মিনিটে ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে আলভারেজের একটি শট রুখে কানাডার গোলরক্ষক মেক্সিম ক্রিপাউ। এরপর টানা ২টি আক্রমণ চালায় কানাডা। তবে ব্যর্থই থাকে তারা। ৮৯ ও ৯০ মিনিটেও গোলচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। তবে সফলতার মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.