দরজায় কড়া নাড়ছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ ফুটবল বিশ্বকাপ। ২০ নভেম্বর মরুর দেশ কাতারে পর্দা উঠবে ফুটবলের এই মহাযজ্ঞের। এরইমধ্যে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দলগুলো। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট হিসেবে ধরা হচ্ছে।
কাতার বিশ্বকাপের আগে আর্জেন্টিনা গত বছর কোপা আমেরিকা জিতেছে। এছাড়া চলতি বছর ফাইনালিসিমায় ইতালিকে হারিয়ে শিরোপা জয় এবং দলের অবস্থান বিবেচনা করে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট বলা হচ্ছে লাতিন আমেরিকার দলটিকে। এদিকে টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কারণে মেসিদের বাজির দরও বেড়ে যাচ্ছে হু হু করে।
তাছাড়া, দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি। যে কারণে অনেক ফুটবল বিশ্লেষক মনে করছেন, ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে শিরোপাটা হয়তো এবার হাতে তুলে নিতে পারবেন বিশ্ব সেরা এই ফুটবলার।
সম্ভবত এটাই হতে যাচ্ছে মেসির শেষ বিশ্বকাপ। সুতরাং, আলবিসেলেস্তে সমর্থকরা চাইবেন- মেসির হাতেই শিরোপাটা উঠুক। আর এসব সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলছে আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগের সামর্থ্য। কারণ, আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভাগ শক্তিশালী। যেখানে লিওনেল মেসির মতো ফুটবল মহাতারকা রয়েছেন। শুধু মেসি নয়, আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভাগের যেকোনো খেলোয়াড় ম্যাচের যেকোনো মুহূর্তে খেলার ফলাফল পরিবর্তন করার সামর্থ্য রাখেন।
এক নজরে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়দের তালিকা দেখে নিই- লিওনেল মেসি (পিএসজি), নিকোলাস গঞ্জালেজ (ফিওরেন্তিনা), অ্যানজেল কোরেয়া (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), লওতারো মার্টিনেসজ (ইন্টারমিলান), পাওলো দিবালা (রোমা), হুলিয়ান আলভারেজ (ম্যানসিটি), জোয়াকিন কোরেয়া (ইন্টারমিলান), লুকাস আলারিও (এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট), এমি বুয়েন্দিয়া (অ্যাস্টনভিলা), জিও সিমিওনে (নাপোলি), লুকাস ওকাম্পোস (আয়াক্স), আলেজান্দ্রো জার্নাচো (ম্যানইউ), ম্যাতিয়াস সউলে (য়্যুভেন্তাস)।
আর্জেন্টিনার দলে দূরন্ত আক্রমণভাগের খেলোয়াড় থাকাতে প্রতিপক্ষের যেকোনো ধরনের ডিফেন্স ভেঙে গোল আদায় করে নেয়ার সামর্থ্য রয়েছে তাদের। বিশ্বকাপের আগ থেকে প্রায় দুই বছর ধরে লাউতারো মার্টিনেজকে নিয়ে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তুলেছেন মেসি। রাইট উইং থেকে বল নিয়ে এসে গোল বানিয়ে দেন মেসি আর প্রতিপক্ষের জাল ছিন্নভিন্ন করে দেন মার্টিনেজ।
পিএসজি কিংবা জাতীয় দল- মেসি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। তার সঙ্গে পাওলো দিবালা, হুলিয়ান আলভারেজ এবং লওতারো মার্টিনেজরাসহ আক্রমণভাগের অন্য খেলোয়াড়েরাও রয়েছেন। তাই বলাই যায়, আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ বেশ শক্তিশালী, যা কিনা আক্রমণভাগের যেকোনো খেলোয়াড় যেকোনো সময় ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তন করে দিতে সক্ষম।