The news is by your side.

কাতার বিশ্বকাপে নারীদের খোলামেলা পোশাক  নিষিদ্ধ

শূকরের মাংস, পর্ণ সামগ্রী, সেক্স টয় নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে কঠোর শাস্তি

0 139

কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে বিতর্ক চলছেই। মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে মদ্যপান নিষিদ্ধ থাকার ইস্যু তো আছেই; এবার  যোগ হয়েছে পোশাক ইস্যু।

কাতার বিশ্বকাপে খোলামেলা পোশাক পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে পোশাক নিয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও, কাতারের মতো রক্ষণশীল দেশে ব্যাপারটা পুরোপুরি আলাদা।

কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া নারী ফুটবলপ্রেমীদের মানতে হবে নির্দিষ্ট পোশাক-বিধি। কারণ কাতারের আইন অনুযায়ী, নারীদের খোলামেলা পোশাক পরা নিষিদ্ধ। বিশ্বকাপেও এ ব্যাপারে কড়াকড়ি থাকছে। এমনকি স্টেডিয়ামে আবেগের বসে কিংবা আনন্দের আতিশয্যে গায়ের শার্টও খুলে ফেলা যাবে না। অবশ্য ফিফার নিয়ম বলছে, সমর্থকদের পোশাক বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে; তবে আয়োজক দেশের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।

ফিফার ওয়েবসাইটে জাদুঘর এবং সরকারি স্থাপনার মতো জনগণের জন্য উন্মুক্ত এমন স্থানে ভ্রমণের সময় কাঁধ এবং হাঁটু ঢেকে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। কাতারে এই নিয়ম মেনেই চলতে হয় সবাইকে।

বিশ্বকাপেও পশ্চিমা দেশগুলো আসা সমর্থকরা শরীরের অবয়ব প্রকাশ পায়—এমন আঁটসাঁট পোশাক পরতে পারবেন না। শুধু কি তাই, এই আইন পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখতে প্রতি স্টেডিয়াম ১৫ হাজার বিশেষ ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। অবশ্য ক্যামেরাগুলো অন্যান্য ‘অপরাধ’ নিয়ন্ত্রণেও ব্যবহার করা হবে।

কাতারের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। কিন্তু পশ্চিমা সমর্থকরা এত তাপমাত্রায় অভ্যস্ত না নন। কিন্তু কাতারের আইন মেনে তাদের পোশাক পরতে হবে। এমনকি এর ব্যত্যয় হলে ২৪ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ডের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানার মুখোমুখি হবেন, এমনকি জেলহাজতেও যেতে হতে পারে। তবে কাতারের বাইরে থেকে আসা নারীদের ‘আবায়া’ (সাধারণ ঢোলা বোরকাজাতীয় পোশাক) পরা বাধ্যতামূলক নয়। এমনকি হোটেল বিচ এবং পুলে সাঁতার-পোশাক পরার অনুমতি আছে।

শুধু পোশাক কেন, শূকরের মাংস, পর্ণ সামগ্রী কিংবা সেক্স টয় নিয়ে কাতারে ঢোকার চেষ্টা করলেও হবে কঠোর শাস্তি। মদ্যপান করতে চাইলে যেতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে। এর বাইরে রাস্তায় বা স্টেডিয়ামে মদ্যপান করলে পেতে হবে শাস্তি।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.