বলিউড তারকা রাকুল প্রীত সিংকে দেখা গেল হাসির ভৌতিক ছবি ‘বো’তে। এ ছাড়া কমল হাসানের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান টু’ ছবিতে দেখা যাবে এই তারকাকে। নিজের এ দুই ছবি নিয়ে কিছু কথা বলেছেন রাকুল।
জিও সিনেমায় সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে রাকুল প্রীত অভিনীত বো ছবিটি। চার বন্ধু আর এক ভয়াবহ রাতকে কেন্দ্র করে এ ছবির গল্প। রাকুল ফার্স্টপোস্টকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, করোনাকালে এক অন্ধকার বাড়ির একটা ঘরে তাঁরা এ ছবির শুটিং করেছিলেন। সে সময় সবার মুখে মাস্ক ছিল। ছবির শুটিংয়ের সময় কোভিড–সংক্রান্ত সব সুরক্ষাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে এক অন্য অভিজ্ঞতা হয়েছিল রাকুলদের।
এর আগে রাকুলকে দেখা গেছে ‘ছতরিওয়ালি’ ছবিতে। এ ছবি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছিল। ওটিটির প্রসঙ্গে রাকুল প্রীতের ভাষ্য, ওটিটিতে ছবি মুক্তি পাওয়া নিশ্চয়ই কম চাপের। কিন্তু মানুষ ছবিটি পছন্দ করলেন কি না, তার চাপ একটা থাকেই। আগে মানুষ থিয়েটারে গিয়ে ছবির বিনোদন নিতেন। কিন্তু এখন বিনোদনের অনেক মাধ্যম এসে গেছে।
তার ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মানুষ মুহূর্তের মধ্যে অনেক তথ্য পেয়ে যান। এসব কিছু মানুষকে প্রভাবিত করে। আর মানুষ এখন সবকিছু বিশ্লেষণ করতে ভালোবাসেন। সত্যি কথা বলতে, এখন একটা ছবির সফলতা মাপা হয় বক্স অফিসের পরিসংখ্যান দিয়ে, গল্প দিয়ে এখন সফলতা বিচার করা হয় না।
রাকুল তাঁর আগামী ছবি ইন্ডিয়ান টুকে ঘিরে রোমাঞ্চিত। এ ছবির মাধ্যমে শঙ্করের মতো পরিচালক আর কমল হাসানের মতো বড় তারকার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ছবিটি প্রসঙ্গে রাকুল বলেন, ইন্ডিয়ান ছবিটি যে অনন্য অভিজ্ঞতার স্বাদ দিয়েছিল, আশা করি, এ ছবিও তা দেবে। আমার মতে, এটা দুর্দান্ত একটা ছবি হতে চলেছে। শঙ্কর স্যার ও কমল হাসান স্যার—দুজনেই অসাধারণ। আমার পরম সৌভাগ্য যে তাঁদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।’
আগামী দিনে আরও অনেক পথ চলতে চান রাকুল। নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রসঙ্গে এই বলিউড নায়িকা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষী। আমি নিজের কোনো সীমানা রাখতে চাই না। আমি চাই, বড় বড় ছবিতে নানান ব্যতিক্রমী চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে। আমি চাই, দর্শককে আমার সেরাটা দিয়ে নিজেকে বারবার প্রমাণ করতে।’
দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরেও সমান জনপ্রিয় রাকুল। নিজের এই স্টারডম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে আমি চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় আছি। তেলেগু ছবিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। আবার এ ইন্ডাস্ট্রিতেও সমানভাবে কাজ করছি। এ ব্যাপারে আমি সত্যি ভাগ্যবান। স্টারডমকে মাথায় নিয়ে চলতে পছন্দ করি না, আটপৌরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত আমি। আজও নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আমি শপিংমলে যাই। আমি মনে করি, কাজের বাইরে আমি এক সাধারণ মানুষ। তাই স্টারডমকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না।’