বিশেষ প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সম্মেলন সফল করতে ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
এদিকে সম্মেলন ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পোস্টার ফেস্টুনে সজ্জিত রাজধানী ঢাকা। নতুন কমিটিতে জায়গা পেতে পদ-প্রত্যাশীরা দিনরাত ছুটছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিশননিউজ ২৪.কমকে জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগে পুরনোদের পাশাপাশি অনেক নতুন মুখ আসছে। শীর্ষ পদেও পরিবর্তন আসতে পারে। সেক্ষেত্রে সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হতে পারে।
নেতৃত্বে কে আসছেন – সরাসরি এ প্রশ্নের উত্তর না দিলেও কেন্দ্রের একজন প্রভাবশালী নেতা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খান আলোচনায় রয়েছেন।
দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতকেও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হতে পারে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে সভাপতি করা হতে পারে। অবশ্য কেন্দ্রের অপর একজন নেতা জানান, শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক রেখে জ্যেষ্ঠ কাউকে সভাপতি করা হতে পারে। আর শাহে আলম মুরাদকে সভাপতি করা হলে – যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিংবা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের মধ্য থেকে কাউকে সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে।
আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিষয়টিও মাথায় রাখছে কেন্দ্র। বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনকে মনোনয়ন না দিলে, তাকেও সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কোন পদে রাখা হতে পারে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কথায় স্পষ্ট – সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক যে কোন একটি পদে থাকছেন শাহে আলম মুরাদ। মুরাদ কেন অপরিহার্য – এমন প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিন্ন বক্তব্য – মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা চাচ্ছেন বলেই তাকে নেতৃত্বে রাখা হচ্ছে। তাছাড়া ওয়ান ইলেভেনসহ সংগঠনের দুঃসময়ে শাহে আলম মুরাদের অবদান মুল্যায়নের দাবী রাখে। তবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে তারা জানান।