চলতি বছর দেশে কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৩২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৫০২ জন শ্রমিক। সবচেয়ে বেশি ৬৩৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে।
বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ওশি) ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিভিন্ন মাধ্যম ও মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ৩২৯ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ২৭৭ জন। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ১০৩ জন ও আহত শ্রমিকের সংখ্যা ২২৫ জন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ৬৩৭ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন ও আহত হয়েছে ১২৭ জন। ২২০ জন দিনমজুর নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন ৭৬ জন। নির্মানখাতে নিহত ১৪৯ ও আহত ৭২ জন। কৃষিশ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ১৪৬ ও আহত হয়েছে ১০ জন (বজ্রপাতে মারা গেছেন ৭১ জন)। পোশাকশিল্পে নিহত ৬৪ ও আহত ৮৯ জন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নিহত ৯৪ ও আহত ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
প্রতিবেদেন বলা হয়, মৎস্য খাতে নিহত ৫৩ ও আহত ২২ জন। সেবা খাতে নিহত ২৬ ও আহত ২২ জন। সিরামিক খাতে নিহত ১৭ ও আহত ০৯ জন। চামড়া শিল্পে নিহত ৪ ও আহত ১৭ জন। এছাড়া ইটভাটা/ব্রিকফিল্ডে নিহত ১১ ও আহত ৬ জন, জাহাজভাঙ্গা বা শিপব্রেকিংয়ে নিহত ৭ ও আহত ২৯ জন, চা শ্রমিক নিহত ১ ও আহত ৬ জন, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।