আকাশপথে করোনাভাইরাস প্রবেশ করতে পারে- এমন ৩০টি দেশের তালিকা করেছে জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই তালিকায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাম থাকলেও বাংলাদেশের নাম নেই।
শনিবার জার্মানির হামবোল্ড ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট এই তালিকা প্রকাশ করে। বিশ্বজুড়ে ৪ হাজার বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচলের ধরন বিশ্লেষণ করে এদের মধ্যে পাওয়া ২৫ হাজারেরও বেশি প্রত্যক্ষ যোগাযোগের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন; এদের মধ্যে ৬৪ জনই একটি প্রমোদতরীর। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন।
তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীনের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা হংকং ও তাইওয়ান। হংকংয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত আরও ২৬ জন। তাইওয়ানে ভাইরাস আক্রান্ত ১৭ জন।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কম্বোডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ভিয়েতনামে রয়েছে ১৩ জন, মালয়েশিয়ায় ১৬ জন, সিঙ্গাপুরে ৪০ ও কম্বোডিয়ায় একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এই তালিকায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর আছে যথাক্রমে ৮ ও ৯ নম্বরে। এই দু’টি দেশে আকাশপথে করোনা প্রবেশের আশঙ্কা যথাক্রমে দশমিক ৬৮৪ ও দশমিক ৫৪০ শতাংশ। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্থান তালিকার ১৭ নভেম্বর। ভারতে আকাশপথে করোনা প্রবেশের আশঙ্কা দশমিক ২১৯ শতাংশ।
হামবোল্ড ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, ভারতের দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে করোনা প্রবেশের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এরপর আছে যথাক্রমে মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কলকাতা বিমানবন্দরের নাম। এ ছাড়া বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও কোচি বিমানবন্দরও আছে ঝুঁকিতে।