আওয়ামী লীরেগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ কেউ করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিদেশে গিয়ে বিমানবন্দরে পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
বুধবার সকালে সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিদেশে যাওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা এবং সত্য গোপন রাখায় বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এটি লাখ লাখ প্রবাসীকে অবিশ্বাস আর অনিশ্চয়তার আঁধারে ঠেলে দিচ্ছে। যাঁরা এটি করছেন, তাঁরা নিজেকেও বিপদে ফেলছেন।
করোনার লক্ষণ দেখা দিলে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তথ্য গোপনের সঙ্গে দেশের ইমেজ, লাখ লাখ প্রবাসীর ভাগ্য এবং ভবিষ্যৎও অনিশ্চয়তায় আবর্তিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরীক্ষার নামে একটি অসাধু চক্র মানুষ ঠকাচ্ছে, প্রতারণা করছে। এসব প্রতারণা–অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। এসব প্রতারণা মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে নির্মম বাণিজ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
ঈদে করোনার সংক্রমণ বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতনতার জনযোদ্ধা হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ক্ষণিকের অসতর্কতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করার আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত না হয়।
সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সম্মুখসারিতে থেকে যাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের আবারও অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা ত্যাগ, মনোবল এবং সংকটে সহমর্মিতার যে নজির স্থাপন করেছেন, জাতি তা শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করবে। ইতিমধ্যে অনেক চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক, নার্স, টেকনেলজিস্ট, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, সেনাসদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।’ তাঁদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন মন্ত্রী।
১৪ দলের নতুন সমন্বয়ক
১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাজেদা চৌধুরী অনেক দিন ধরে অসুস্থ। মুখপাত্র সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে ১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের উপদেষ্টা আমির হোসেন আমু।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে আবার তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে মুখপাত্র ও সমন্বয়ক হিসেবে চূড়ান্ত করেছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।