চীনে ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে নতুন করে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে।
যাদের মধ্যে ২০৪ জনই করোনার উৎপত্তিস্থল উহান শহরের নাগরিক। বাকিরা দেশটির অন্যান্য শহরের বলে জানিয়েছে হুবেই প্রদেশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উহান শহরের প্রায় ৬ হাজার নাগরিকসহ গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবারের চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এ রোগে আক্রান্তের হার ৩০ শতাংশের বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সতর্ক ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিভিন্ন দেশ।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতকাল বৃহস্পতিবার জেনেভায় এক জরুরি বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আডহানোম গেবরিয়াসুস বলেন, দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে এই ভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাই আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। এটির বিস্তার যাতে আর ঘটতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজকরতে হবে। কেবল সবাই একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে এটাকে বন্ধ করতে পারবো।
নতুন ধরনের এ করোনাভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে প্রথমত চীনফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কিন্তু জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ভিয়েতনামে ৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যারা কখনও চীনে যাননি।
অর্থাৎ, সেখানে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করেছে এ ভাইরাস।
যেসব দেশে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, সেসব দেশে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি কী হবে- মূল সেই ভাবনা থেকেই বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।