আমার কামরাঙ্গীরচরে বাড়িটি ( বুড়িগঙ্গা) আমার হাত-ছাড়া হয়ে গেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর সকাল দশটার দিকে গীতারানী নমঃশূদ্র, কল্পনা বেগম এবং শান্ত ইমন- এই তিনজন একজোট হয়ে আমাকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে তেজগাঁর বিশ্ববিখ্যাত রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়।
আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাইক্রোবাসে ঘাপটি মেরে থাকা এডভোকেট রেজাউল করিম আমাকে তেজগাঁর রেজিস্ট্রি অফিসের একজন কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যান এবং বেশকিছু সন্দেহজনক স্টাম্পের ওপর আমাকে পাতায় পাতায় স্বাক্ষর প্রদান (অটোগ্রাফ) করতে বাধ্য করেন।
কলমটি ভালো ছিলো, ফলে স্ট্যাম্পের হলুদ কার্টিজ পেপারে স্বাক্ষর করতে আমার বেশ ভালোই লেগেছে।
আমি কী একটা কাগজের ওপর বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দিতে-দিতে সবিনয়ে এডভোকেট করিমকে জিজ্ঞাসা করি- “ভাই, এইডা আবার
কুনু ষড়যন্ত্র নয়তো?”
হাসিমুখে এডভোকেট করিম বলেন,
“না দাদা, এইটাই হইলো আপনার সেই দানপত্র।”
লেখাটির শেষবাক্যে এসে আমার প্রশ্নের উত্তরে উকিল যখন বলেন– “এইডাই হইলো আপনার দানপত্র”। তখন তো বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার কথা যে, দানপত্রটি কবির অনভিপ্রেত নয়, বরং খুবই অভিপ্রেত।
আসলে “দানপত্র” সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই কম। আমার জীবনে তো এটাই প্রথম।