জেমসকে রকস্টার হিসেবে বিশ্ব চেনে। তবে তিনি যে অনন্য এক ছবিয়াল, সেটা অনেকেই জানে না। মাঝে মাঝে তার ছবির দু-এক ঝলক মেলে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে।
তার ছবি তোলার যে ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে সেটি দেশের অনেক বড় সিনেমাটোগ্রাফারের সংগ্রহেও নেই। তবে তার এই ছবি তোলার বিষয়টিকে এতকাল ব্যক্তিগত করে রেখেছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক আড্ডামুখর আয়োজনে জেমসের প্রতি প্রশ্ন ওঠে, আপনি ছবি তোলেন। অসাধারণ সেসব ছবি। যে ছবিতে যেমন প্রকৃতিকে তুলে আনেন, তেমনি নামজাদা তারকারাও ধরা দেন আপনার অনবদ্য ফ্রেমে। তো কোনও এক্সিবিশন বা অন্য কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে ছবিগুলো নিয়ে।
জবাবে জেমস উড়িয়ে দিলেন এক কথায়। বললেন, ‘কোনও ইচ্ছা নেই। ছবি আমি তুলি একান্তই আমার ভালোলাগা থেকে।’
প্রশ্ন ছিলো, ছবিয়াল হিসেবে এমন কেউ কি আছেন- যার ছবি আপনি তুলতে চান? জবাবে জেমস, ‘এটা তো আসলে নির্ভর করে সময় বা মুহূর্তের ওপর। কখন কাকে কোন পরিস্থিতিতে পেলাম, সেটাই বলে দেবে আমার ছবি তোলার ফ্রেম বা আগ্রহ।
হ্যাঁ, এটা ঠিক- কবি নির্মলেন্দু গুণের ছবি তোলার ইচ্ছা আছে আমার ভেতর। কিন্তু কেন, সেই ব্যাখ্যাটা আমার কাছে নেই।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানের অভিজাত ক্লাবে আয়োজিত এক আনন্দআড্ডায় কথাগুলো বলেন জেমস। এদিন তার প্রকাশ প্রতীক্ষিত গান ‘আই লাভ ইউ’ নিয়ে বিশেষ আয়োজনটি করেন নগরবাউলের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন।
এতে বলিউডে নিয়মিত না হওয়ার প্রশ্নের জবাবে জেমস বললেন, ‘বলিউডে তখন ক্যারিয়ার গড়তে পারতাম। খুব সহজ ছিলো। কিন্তু সেখানে গেলে আমাকে বাংলাদেশটা ছাড়তে হতো। যেটা আমাকে দিয়ে সম্ভব নয়। আরও বড় প্রলোভন দিলেও দেশ আমি ছাড়তে প্রস্তুত নই। তাই আর বলিউডে কনটিনিউ করা হয়নি।’
১২ বছর পর ফের নতুন গানে ফিরছেন নগরবাউল জেমস। সেটি প্রকাশ পাচ্ছে চাঁদরাতে। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অভিজাত এক ক্লাবে জেমস বসেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। চার দশকের ক্যারিয়ারে এবারই তিনি- সাংবাদিকদের অসংখ্য প্রশ্নের জবাব দিলেন লম্বা সময় নিয়ে। জানালেন নতুন গানটির নাম ও পরিচয়।
নতুন গান প্রসঙ্গে জেমস বলেন, ‘এই গানটি একেবারেই আমার ভক্ত-শ্রোতাদের জন্য তৈরি করা। বিশেষ করে যারা আমার গান শুনতে মাঠে ময়দানে ছুটে যায়- তাদের জন্যই আমার এই গান।’
আরও জানালেন, এটি আনন্দ ও ভালোবাসার গান। ময়দানের গান। ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশের গান। যারা চার দশক ধরে ‘গুরু’র সম্মোহনী কণ্ঠে বিভোর হয়ে আছেন।