কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দুই দিন ধরে অসংখ্য মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে। একেকটি জেলিফিশের ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজি। হঠাৎ বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধান করার তাগিদ দিচ্ছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বুধবার দুপুর থেকে জোয়ারের পানিতে মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে। বিকেলে সৈকতের দরিয়ানগর প্যারাসেইলিং পয়েন্টে একসঙ্গে অর্ধশতাধিক জেলিফিশ ভেসে আসে। মোহাম্মদ রফিক (৫৫) নামের দরিয়ানগর এলাকার এক জেলে বলেন, তিন বছর ধরে তিনি সাগরে মাছ ধরছেন, তবে একসঙ্গে কখনো এত জেলিফিশ ভেসে আসতে দেখেননি তিনি।
কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা বলেন, কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতের উত্তরে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী এবং টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে মরা জেলিফিশ ভেসে আসছে। আজ বৃহস্পতিবারও জেলিফিশ ভেসে এসেছে। কিছু জেলিফিশ কুকুর খেয়ে ফেলছে, কিছু বালুর নিচে চাপা পড়ছে। অনেক জেলিফিশ বালুচরে পড়ে আছে। হঠাৎ এত বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ ভেসে আসার কারণ অনুসন্ধান জরুরি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে সৈকত থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট।
প্রতিষ্ঠানের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফিক ডিভিশনের প্রধান আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে মাছ ধরার সব ট্রলার সাগরে নেমেছে। অন্যান্য মাছের মতো বঙ্গোপসাগরে জেলিফিশেরও প্রজনন বেড়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেলিফিশগুলো জেলেদের জালে আটকে পড়ে মারা গেছে। এখন জোয়ারের পানিতে ভেসে আসছে, তবে বিপুলসংখ্যক জেলিফিশ মৃত্যুর পেছনে সমুদ্রদূষণ কিংবা অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।