কক্সবাজার টেকনাফ শামলাপুর বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ডুকে দুই বাংলাদেশীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে । শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এই অপহরণের ঘটনা ঘটলেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই দুই বাংলাদেশী যুবককের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে চক্রটি অপহৃত দুই বাংলাদেশী যুবককের পরিবার ও স্বজনদের কাছে মুঠোফোনে কল করে ১১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানান স্বজনরা।
অপহৃতরা হলো, টেকনাফ উপজেলা শামলাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নোয়াহালী পাড়ার ইলিয়াসের পুত্র মোহাম্মদ মুবিনুল (২৫), মোহাম্মদ ইসমাঈল পুত্র, মোহাম্মদ নূর (২০)।
অপহৃত যুবক মোহাম্মদ মুমিনুল পিতা ইলিয়াস বলেন, কাল রাত ১১টার দিকে আমার ঘরে কিছু মানুষ আসে। প্রথমে দরজা খুলতে বলেন। এরপর আমার ছেলেকে ডাকে। তারপর কিছু কথা আছে বলে আমার ঘরের কিছু দূরে নিয়ে যায়।আমি জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, এর সাথে কিছু কথা আছে বলে আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপরে আমি এলাকার মানুষ ডাকলে তারা পাহাড়ের দিকে চলে যায়।কিছুক্ষণ পর তারা খবর দেন ১০লাখ টাকা দিলে আমার ছেলেকে জীবিত ফিরে দিবে।আমি যদি এই ঘটনা পুলিশ র্যাবকে দিলে আমার ছেলেকে মেরে পেলবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা।
টেকনাফ শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (আইসি) নূর মোহাম্মদ বিষয়টি ভিশন নিউজ ২৪ কে নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনা স্থলে যায়। অপহৃতদের সঠিক তথ্য দিতে না পারায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছিনা।
শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস ভিশন নিউজ ২৪ কে বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে আমার ওয়ার্ডের দুইজনকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আলিয়াকিন অপহরণ করে নিয়ে যায়।তাদের এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর মেলেনি। শুধু এরা দুইজন নয় এর আগেও ২০-২৫ জনকে অপহরণ করেছে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। র্যাব, পুলিশ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আলিয়াকিন বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তখন তারা শামলাপুর নোয়াহালী বনের মাঝখানে অবস্থান করে। কয়েকজন স্থানীয় বাংলাদেশীদের নিয়ে এই রঙ্গের চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। একদিন পরপর অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের অপহরণ কোনভাবেই থামছে না। আমি এই বিষয়টি আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেকবার বলেছি তারপরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা । এলাকার মানুষ খুব আতঙ্কে আছেন ।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি হাফিজুর রহমান থেকে জানতে চাইলে তিনি ভিশন নিউজ ২৪ কে জানান, অপহরণের কোন খবর আমাদের কাছে আসেনি। এবং কোন অভিযোগও পাইনি বলে জানান, পুলিশের এই কর্মকর্তা।