The news is by your side.

কক্সবাজার: অবৈধ অস্ত্র ও কিশোর  গ্যাং আতঙ্ক !

অপরাধ চক্রের নেপথ্যে কে বা কারা?

0 238

 

 

কক্সবাজার অফিস

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ জনপদ  কক্সবাজারে   অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। বাড়ছে কিশোর গ্যাং এর প্রভাব।

কয়েকদিন আগে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতা অস্ত্রধারীদের হাতে খুন হয়েছেন এবং কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়া এলাকায় এক শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে খুন হয়।

শহরের লাইট হাউজ পাড়া, ঘোনার পাড়া, বৈদ্যঘোনা, পেশকার পাড়া, নুর পাড়া, সাহিত্যিকা পল্লী, গরুর হালদা সড়ক, সমিতি বাজার, আদর্শগ্রাম জেল গেইটস্থ আশপাশের এলাকা, নুনিয়ার ছড়া, বার্মিজ মার্কেট, কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়া, আদর্শগ্রাম, ডেইল পাড়া, মামুন পাড়া এলাকা জুড়ে অস্ত্রধারীরা প্রকাশ্যে জায়গা দখল কিংবা পূর্ব শত্রুদের রুখতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে ।

সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের তোতকখালী, পাতলী—মাছুয়াখালীসহ একাধিক এলাকা এবং ঝিলংজার বাসটার্মিনাল, পূর্ব লারপাড়া, পশ্চিম লারপাড়াসহ সদর ও শহরের এসবস্থানে কিশোর গ্যাং বিস্তার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শহরে কিশোর গ্যাংদের হাতে-  যে কোন অস্ত্র হাত বাড়ালেই মিলে। তারা বিভিন্ন দোকানে পাটে আড্ডা জমিয়ে মানুষের সাথে অহেতুক ঝগড়া বাঁধিয়ে কোন না কোন দূর্ঘটনা অব্যাহত রাখছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, একটি প্রভাবশালী মহল  অবৈধ অস্ত্রের চালান  এবং  কিশোর গ্যাং’ দের   পেছন থেকে সব ধরনের সহায়তা করছে।  তাদের লেলিয়ে দিয়ে কক্সবাজার শহরতলী কিংবা জেলার বহু জায়গা দখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রাখছে। অপরাধের ঘটনায় সন্ত্রাসীরা আটক হলেও  সেই প্রভাবশালী  মহল তাদের থানা কিংবা আদালত থেকে  মুক্ত করছেন।

জনমনে প্রশ্ন – কে বা কারা জড়িত রয়েছেন এই প্রভাবশালী  ‘ক্রাইম সিন্ডিকেটে’? উত্তর জানা থাকলেও ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউই।

শঙ্কিত জেলার সাধারণ মানুষ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দমনে যৌথ অভিযানের দাবি জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (কক্সবাজার)  রফিকুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাস দমনে পুলিশ সবসময় তৎপর। সামনে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোরভাবে অভিযান জোরদার করা হবে ।

অপরাধপ্রবণতার লাগাম টেনে না ধরতে পারলে  – এর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব পড়বে  কক্সবাজারের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতের ওপর। হুমকির মধ্যে পড়বে এ অঞ্চলের অর্থনীতি। কক্সবাজারে যদি পর্যটক না আসে, তাহলে এ অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসায় চরম দূর্যোগ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে এমন মন্তব্য করেন এক পর্যটন ব্যবসায়ী।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.