সামান্য ‘ভুলে’র কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন দেশটির ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী হতে পারেন। মনে করছেন আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি ওয়াগনারের বিদ্রোহ থামানোর জন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চালিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর সেটা করতে গিয়েই একটি ভুল করেছেন তিনি। ফলে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিয়ে যেতে পারেন তিনি।
দ্য গার্ডিয়ান বলছে, একটি কথার মধ্য দিয়ে ওয়াগনার গ্রুপের সংগঠিত সব যুদ্ধাপরাধের দায় রাষ্ট্র ও নিজের ওপর নিয়ে নিয়েছেন পুতিন। বিষয়টি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মামলা করা সহজ করে তুলেছে।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বে ওয়াগনার গ্রুপ যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করে, পুতিন তখন বলেছিলেন, ওই ভাড়াটে দলের যাবতীয় খরচ বহন করে রুশ কর্তৃপক্ষ। শুধু তা-ই নয়, পুতিন জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের শুধু মে মাসেই রুশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি নিয়েছে গ্রুপটি।
পুতিনের মুখ থেকে বের হওয়া এই কথাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াগনার গ্রুপকে হয়তো থামিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে অনেক বড় ভুল করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এমনটাই মনে করছেন আইনের অধ্যাপক ফিলিপ্পে স্যান্ডস।
আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের উৎস অনুসন্ধানবিষয়ক ‘ইস্ট ওয়েস্ট স্ট্রিট’ বইয়ের লেখক ফিলিপ্পো বলছেন, মুখ ফসকে বলা কথার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার নেতা হিসেবে ওয়াগনার গ্রুপের সংগঠিত সব অপরাধের দায় পুতিন নিজের কাঁধে নিয়েছেন।
অক্সফোর্ডের আইনবিষয়ক অধ্যাপক ড্যাপো আকন্দে মনে করছেন, ওয়াগনারকে অর্থ সরবরাহ করায় দলটির সব অপকর্মের দায় পুতিন কিংবা রাশিয়ার ওপর বর্তাবে, বিষয়টা এমন নয়। তবে বিষয়টি অনেক বড় একটি মামলার ছোট অংশ হতে পারে।