The news is by your side.

ওয়াগনারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে কঠোর অভিযান রাশিয়ার

0 140

 

ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের নেতার বিদেশে নির্মাণ করা ‌বিশাল সাম্রাজ্যের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার চেষ্টা শুরু করেছে রাশিয়া।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা সিরিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও মালির সরকারগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যেই যোগাযোগ করেছে।

রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ভারশিনিন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে দামেস্ক উড়ে গেছেন। তিনি মস্কোর তদারকি ছাড়া ওয়াগনার বাহিনীকে সিরিয়া থেকে সরে যাওয়া থামাতে বাশার আল-আসাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

অনেকটা স্বাধীনভাবে সিরিয়ায় তৎপরতা চালানো ওয়াগনার বাহিনীকে সিরিয়ার বন্দর নগরী লাতাকিয়ার বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাঁটিটি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওয়াগনার বাহিনী এই নির্দেশনা অনুসরণ করছে বলে জানা গেছে।

আফ্রিকার দেশ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে ওয়াগনারের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানেও যোগাযোগ করছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ফাস্টিন-আচানঞ্জ তুদেরার দেহরক্ষী বাহিনীতেও ওয়াগনার ভাড়াটে সেনারা রয়েছে।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে দেশটিকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে ওয়াগনারের বিদ্রোহ সত্ত্বেও আফ্রিকায় রুশ কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।

মালিতেও ওয়াগনার বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা ছিল। বিশেষ করে ২০১২ সাল থেকে চলমান বিদ্রোহ দমন করতে সেখানে পাঠানো রুশ যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলোর পাহারায় ছিল ওয়াগনার বাহিনী। সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের বাইরে প্রায় ছয় হাজার ওয়াগনার সদস্য বিভিন্ন ধরনের তৎপরতায় নিযুক্ত ছিল।

বেসরকারি নিরাপত্তা, মাইন পরিষ্কারকরণ, গৃহযুদ্ধ প্রতিরোধ ইত্যাদি নানা কাজে তারা নিয়োজিত ছিল।

সংক্ষিপ্ত বিদ্রোহের পর ওয়াগনারের নেতা প্রিগোজিনকে বেলারুশে কার্যত বন্দী করে রাখা হয়েছে। আর তার বাহিনীও ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.