The news is by your side.

‘ওমর’ সিনেমা দেখে হাউমাউ করে কাঁদলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী

0 82

 

ঈদে মুক্তি পাওয়া ১১ সিনেমার মধ্যে মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় ‘ওমর’ অন্যতম। মাল্টিপ্লেক্সের পাশাপাশি সারাদেশের ২১ প্রেক্ষাগৃহে মহাসমারোহে চলছে তারকাবিহীন ছবিটি। মুক্তির প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ‘ওমর’র সব শো হাউজফুল গেছে বলে জানিয়েছে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

পরিবার নিয়ে গতকাল সন্ধ্যার শোতে রাজধানীর এসকেএস টাওয়ারে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। ‘ওমর’ সিনেমা দেখে বের হয়েই হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন। মোস্তফা কামাল রাজকে কাছে পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন এই নির্মাতা।

কান্না থামিয়ে বললেন, তুমি যদি আমার বড় হতে তাহলে তোমাকে আমি স্যালুট জানাতাম। তুমি কি সিনেমা বানিয়েছ, আমি কান্না ধরে রাখতে পারছি না। নায়িকাহীন এমন সিনেমা কেউ বানাতে পারে কল্পনাতেও ছিল না।

তিনি আরও বলেন, তোমার এই ছবি হিট হওয়া উচিত, মানুষের দেখা উচিত। মানুষ যদি নাও দেখে তুমি সুপার বানাইছ। আমার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাচ্ছিল।

এরপর চয়নিকা ফেসবুকেও তার মন্তব্য লিখেছেন, যদি মোস্তফা কামাল রাজ আমার বড় ভাই হতো তবে আজ তার পা ছুঁয়ে ধন্যবাদ জানাতাম। সত্যিই তাই। এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি। যারা আমাকে, আমার লেখাকে অপছন্দ করেন, এই লেখা তাদের না পড়াই উচিত। আপনারা কাইন্ডলি আপনাদের কাজ না থাকলে নিজের চরকায় ভালো করে তেল দেন।’

চয়নিকা বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে গেলাম একজন পরিচালক পুরা একটি সিনেমায় নায়িকা ছাড়া শুধু গল্প, নির্মাণ, অভিনয় দিয়ে টান টান উত্তেজনায় দর্শকদের বসিয়ে রাখলেন। কী ভাবে সম্ভব? এটা কেউ বিশ্বাস করবে? এমন ঘটনা আমি দেখিনি কখনই। আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ দিবো স্ক্রিপ্ট রাইটারকে। যদিও পরিচালক ক্যাপ্টেন অফ দ্য শীপ। সিনেমা দেখতে দেখতে প্রতি মুহুর্তে আমার টেনশন হচ্ছিল। খুব প্যালপিটিশন হচ্ছিল। আমি শতভাগ শিওর কোন দর্শক চোখের পলক ফেলতে পারেননি। চোখ ফেরাতেও পারেননি।’

‘শহীদুজ্জামান সেলিম, নাসির উদ্দিন খান, শরীফুল রাজ, ফজলুর রহমান বাবু, তানভীরসহ সবাই যার যার জায়গায় উজ্জ্বল। অভিনয় ও সুন্দর ডায়ালগ ডেলিভারি একদম আলাদা ছিল। এমনকি সিমলা যে মেয়েটি গৃহকর্মীর অভিনয় করেছেন তিনিও দারুণ ছিলেন।’

‘ওমর’ ছবি উৎসর্গ করা হয়েছে লেখক-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ও চিত্রনায়ক-প্রযোজক মান্নাকে। উৎসর্গ করার কারণ হিসেবে নির্মাতা বললেন, ‘এই দুজন মানুষকে ছবিটি উৎসর্গ করার মূল কারণ, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করা। হুমায়ূন আহমেদ আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। ওনার লেখা এবং নির্মাণ আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। আর নায়ক মান্না আমার অনেক প্রিয়, এমনকি আমার সিনেমার নায়ক শরীফুল রাজেরও প্রিয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.