গত বছর বি-টাউনে খবর ছড়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। সময় মতো সেই গুঞ্জনে জল ঢেলে দিয়েছেন তাঁরা নিজেরাই। সম্পর্ক নিয়ে সে ভাবে প্রকাশ্যে কথা বলেন না অভিষেক। তবে পুরনো এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর রাগ প্রকাশের ধরন নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি।
ঐশ্বর্যা নাকি সহজে রেগে গিয়ে কারও উপরে চিৎকার করেন না। অভিষেক বলেছিলেন, “ঐশ্বর্যা খুবই আন্তরিক ও হাসিখুশি একজন মানুষ। ও খুব উঁচু গলায় কথা বলে না। ওকে রাগাতে গেলে আপনাকে খুবই খারাপ কিছু কাণ্ড ঘটাতে হবে। না হলে ওর মাথা খুব ঠান্ডা।”
সেই সাক্ষাৎকারেই ঐশ্বর্যার অভিনয় দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। বলা হয়েছিল, অধিকাংশ চাকচিক্যে মোড়া চরিত্রেই দেখা যায় ঐশ্বর্যাকে। সেই প্রসঙ্গেও স্ত্রীর সমর্থনে কথা বলেছিলেন অভিষেক। তিনি বলেছিলেন, “ঐশ্বর্যা একজন অভিনেত্রী। খুবই সাদামাঠা চরিত্রে মণি রত্নম ওকে ‘ইরুবর’ ছবিতে প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন। চরিত্র দেখেই ও সব সময় অভিনয় করেছে, শুধুই সৌন্দর্য ও চাকচিক্যে মোড়া চরিত্রে ওকে মোটেই দেখা যায়নি।”
স্ত্রীর পরামর্শ নিজের জীবনেও প্রয়োগ করেন অভিষেক। জুনিয়র বচ্চন বলেন, “আমি এখনও সকলকে খুশি করতে চাই। যে সমস্ত নেতিবাচক মন্তব্য আসে, সবই মনযোগ দিয়ে দেখি। আসলের মানুষের ধর্মই, নেতিবাচক বিষয়ে বেশি মনযোগ দেওয়া।” এই প্রসঙ্গেই ঐশ্বর্যা সব সময়ে ইতিবাচক বিষয়ে মন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁকে। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী বলেছিলেন, “ইতিবাচক বিষয়ে মন দাও।” স্ত্রীর এই পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করেন অভিষেক।